দেশ

বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা, আচমকা ছিটকে এগিয়ে গেল হাওড়াগামী চম্বল এক্সপ্রেসের ৩ বগি

বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল চম্বল এক্সপ্রেস ৷ শনিবার গোয়ালিয়র থেকে হাওড়াগামী দূরপাল্লার এই ট্রেন হঠাৎ করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় । এতে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয় । ঘটনাটি রেলওয়ের আধিকারিকদের জানানো হয় । এরপরই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলের কারিগরি দল । প্রেসারের পাইপটি মেরামত করে দুটি কোচই সংযুক্ত করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে । এর পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রেনটি যখন আচমকা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়, তখন সেটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে যাচ্ছিল ৷ সেই সময় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত ৷ ঝাঁসি-প্রয়াগরাজ রেল রুটের খয়রাদা ও মাতাউন্দ স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে । শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ গোয়ালিয়র থেকে হাওড়াগামী চম্বল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল ৷ সেই সময় হঠাৎ ট্রেনটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । যাত্রীদের মতে, হঠাৎ জোরে কিছু ভাঙার শব্দ কানে আসে এবং এর পর ট্রেনের একটি বগি থেমে যায় । অন্য অংশ ততক্ষণে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এগিয়ে গিয়েছে । পরে লোকো পাইলট কোচটি আলাদা হতে দেখে ট্রেন থামিয়ে রেলের কর্মকর্তাদের খবর দেন । এরপর রেলের কারিগরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাইপ মেরামত করে ট্রেনটি পাঠানো হয় । এই ঘটনার জেরে প্রায় ৩৪ মিনিট রেল চলাচল ব্যাহত হয় । স্টেশন ম্যানেজার মনোজ কুমার জানান, প্রেশার পাইপ ফেটে ট্রেনটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে । এতে ট্রেনের তিনটি বগি আলাদা হয়ে যায় । আমাদের কারিগরি কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্যার সমাধান করেন ৷ এরপর ট্রেনটিকে গন্তব্যে পাঠিয়ে দেন তাঁরা। পুরো ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি । চম্বল এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রী সুরেশ বলেন, হঠাৎ ট্রেনে বিস্ফোরণের শব্দ হলে আমরা ভয় পেয়ে যাই । এরপর ট্রেন দুটি ভাগ হয়ে যায় । এরপর ট্রেনটি মেরামত করে ছেড়ে দেওয়া হয়।