খেলা

কেকেআরকে হারিয়ে চতুর্থবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই

চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৯২/৩ (দু’প্লেসি ৮৬, মঈন ৩৭*, নারিন ২/২৬),
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৬৫/৯ (ভেঙ্কটেশ ৫০, গিল ৫১, শার্দূল ৩/৩৮),
চেন্নাই সুপার কিংস ২৭ রানে জয়ী।

 সিএসকে আরও একবার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন। এই নিয়ে চার বার। ফাইনালে কার্যত ধোনির দলের সামনে প্রতিরোধই গড়তে পারল না কেকেআর। ১৯৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নাইটরা গুটিয়ে গেল মাত্র রানে। শারজার সম্রাট হয়ে উঠেছিল কেকেআর। টুর্নামেন্টের তাবড় তাবড় দলকে বধ করেছে কলকাতা। তবে পছন্দের শারজা ছেড়ে বেরোতেই ফাইনালে দুবাইয়ে হাঁসফাঁস উঠে গেল কেকেআরের।যদিও ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন দুই কেকেআর ওপেনার শুভমন গিল এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ওপেনিং জুটিতে ৯১ রান যোগও করে ফেলেন তাঁরা। যদিও এটা সম্ভব হয়েছে শূন্য রানে ভেঙ্কটেশের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তারপর বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান মাত্র ৩২ বলে ৫০ রান করেন। মারেন পাঁচটি চার এবং তিনটি ছয়। অন্যদিকে, শুভমন গিল করেন ৪৩ বলে ৫১ রান। কিন্তু দুই ওপেনার বাদ দিয়ে কোনও নাইট ব্যাটসম্যানই বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। এমনকী দু’অঙ্কের ঘরেও মর্গ্যান, রানা, শাকিবদের মতো ব্যাটসম্যানরা পৌঁছতে পারেননি। কেকেআরের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান শিবম মাভির (২০)। ফলস্বরূপ চেন্নাইয়ের ১৯৩ রানের জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৬৫ রানেই থেমে যায় নাইটদের ইনিংস। ২৭ রানে হারেন মর্গ্যানরা। চেন্নাই বোলারদের মধ্যে বলতে গেলে প্রত্যেকেই দুরন্ত বোলিং করেছেন। শার্দূল তিনটি এবং হ্যাজেলউড-জাদেজা দুটি করে উইকেট পান। এছাড়া দীপক চাহার একটি উইকেট পান। মাঝের ওভারে রান তোলার গতি কমে যাওয়া এবং পরপর উইকেট খোয়ানোয় ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফলে ২৭ রানে ম্যাচ জিতে চতুর্থবার আইপিএল জিতে নিল চেন্নাই সুপার কিংস।