জেলা

‘মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে, নইলে অন্য দল করুন’, পুরুলিয়া থেকে স্পষ্ট বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর

আজ পুরুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দলের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন তৃণমূল করলে মানুষকে বঞ্চনা করা যাবে না। মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে, যদি সেটা না করতে পারেন তা হলে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম করুন- স্পষ্ট জানালেন মমতা। এদিন পুরুলিয়ার সভা থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল সভানেত্রী। তাঁর অভিযোগ, এরা নিজেরাই অশান্তি ছড়ায়। তারপর শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে। বিভিন্ন জনজাতির মধ্যে অশান্তি বরদাস্ত করবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আদিবাসী, মাহাতো, কুর্মি- জনজাতির মধ্যে অশান্তি বাঁধানোর যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা কড়া হাতে দমন করা হবে। এরপরেই দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য তৃণমূল সুপ্রিমোর স্পষ্ট বার্তা, “মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন। মানুষই বড়। মানুষই জিতিয়েছে। মানুষ ছুড়ে ফেলে দিলে কেউ পুছবে না। আমার সাথে যাঁরা দল করবেন, আমার সাথে থাকবেন, তাঁরা এই কথাটা বিশ্বাস করবেন। আর এটা যাঁরা বিশ্বাস করেন না- তাঁরা বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম করুন।“ দলীয় কর্মীদের কড়া নির্দেশ, তৃণমূল করলে মানুষকে বঞ্চনা করা যাবে না। সন্দেশখালি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে অভিযোগ উঠছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলেছে শাসকদল। অভিযোগ প্রমাণ হলে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযুক্ত নেতাকে। এই বিষয়ে রেয়াত করা হচ্ছে না কোনও হেভিওয়েটকেও। এদিন সভা থেকে ফের একবার মানুষের পাশে থেকে কাজ করার বার্তা দিলে তৃণমূল সভানেত্রী। না হলে দল যে কড়া সিদ্ধান্ত নেবে, তারও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, “একদল লোক আছে, কোনও কাজ করে না। শুধু মিথ্যে কথা বলে বেড়ায়। আমি মিথ্যা কথাকে ঘৃণা করি।”  এদিন মমতা আশ্বস্ত করেন, আদিবাসীদের জমিতে কেউ হাত দিতে পারবে না। আরও বলেন, “মাহাতদের বলব আদিবাসীদের সঙ্গে মাহাতদের ঝগড়া আমার পছন্দ নয়। মাহাতদের সমস্যা, দাবি আমরা দেখে নেব। কিন্তু দয়া করে আদিবাসীদের সঙ্গে ঝগড়া করবেন না।” প্রসঙ্গত, এদিন পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কপ্টারে উঠতে যাওয়ার পথে মহিলারা একত্রিত হয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, ‘কালিন্দী জাতিদের জন্য কোনও উপহার দিলেন না দিদি? আমরা তো খুব গরিব।’ উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি বিনে পয়সার চাল পান না ? লক্ষ্মীর ভান্ডার পান না ? তাহলে আর কি পাবেন?’