নির্বাচন শেষ হলেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বীরভূমের বোলপুরে প্রার্থীদের নিয়ে কর্মীসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন অফিসার অর্থাত্ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে, অজয় নায়েক ও উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, বিজেপির কথায় এই তিন অবসারপ্রাপ্ত অফিসার, রাজ্যের পুলিশ ও জেলাশাসকদের নির্দেশ দিচ্ছেন, তৃণমূলের নেতা কিংবা কর্মীদের কীভাবে আটকানো যায়। ভোটের আগের দিন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা ভোটটা না করাতে পারে। কীভাবে একটি দলের কথায় তাদের হয়ে কাজ করছেন ওই পর্যবেক্ষকরা? সেই কারণেই ভোট মিটলেই সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে, কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে নিয়ে আসেন মমতা। নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ করা তিন অবসারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ও রাজ্যের জেলা শাসক ও পুলিশেরব উচ্চকর্তাদের কথোপকথনের তথ্য রয়েছে সেখানে। সেই বিষয়ে মমতা জানিয়েছেন, ‘কমিশন ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে আমাদের দলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করে নিতে। আমার কাছে সব কিছুর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে। আমার কাছে যা প্রমাণ আছে, আমি ঠিক করেছি নির্বাচনের পরে সুপ্রিম কোর্টে আমি যাব। রাজধর্ম পালন করলে আমার কোনও সমস্যা নেই। এখানে কিছু ডিএম, এসপি-রাও তাঁবেদারি করছে, যাদের তাঁবেদারি করা উচিত নয়। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, কোন নির্দেশে কী কাজ চলছে সব খবর আমার কাছে আছে। এমন করছে যেন বিজেপি ক্ষমতায় এসে গিয়েছে। বিজেপি, নির্বাচন কমিশনের কথা শুনে চলছে। শুধু বিজেপি-কে বাংলা দখল করানোর জন্য কমিশন এখানে এত দফায় ভোট করালো।’ একাধিক সাংবাদিক সম্মেলনে কিংবা জনসভা থেকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। ‘বিজেপির কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন,’ সেই কথা বারবার বলেন মমতা। এদিন ফের সেই একই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিজেপি-র এক নেতা বলল ওরা সভা করবে না। ওদের কোনও সভা ছিলও না। তার পরেই সবার সভা বন্ধ করে দেওয়া হল। কমিশনের কাছে কোনও বিচার আমরা পাচ্ছি না। বিজেপি-র কথা শুনে নির্বাচন কমিশন ভোট করায় করোনা এত বেড়েছে।’