কলকাতা

‘মায়ের চোখ দর্শন করার মধ্য দিয়ে বাংলা দর্শন’, ভার্চুয়াল উদ্বোধনে জেলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী

চেতলা অগ্রণী’র পুজো থেকে অখণ্ড বাংলার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সম্প্রতি বিজেপি বারবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগের কথা বলছে। তবে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখই করলেন না মুখ্যমন্ত্রী। বরঞ্চ তুলে ধরলেন, অখণ্ড বাংলার কথা। মহালয়ার দিন রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণের ২৬৩টি পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরে বলেন, ‘মায়ের চোখ দর্শনের মধ্য দিয়ে বাংলা দর্শন করার সুযোগ পেলাম’। এও বলেন, ‘এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সমস্ত পুজো কমিটিকে ধন্যবাদ’। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর চোখেমুখেও ছিল খুশির আমেজ৷ পুজো যে এসে গিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছিল তাঁকে দেখেই৷ তিনি বলেন, “আমার ভাল লাগছে সব জেলা, কালিম্পং থেকে ঝাড়গ্রাম এক হয়ে গিয়ে বাংলা মাকে নিয়ে এসেছন। আমি গ্রাম বাংলাকে দেখতে পাচ্ছিলাম। এত সুন্দর আয়োজন করেছে জেলাগুলো। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে ভাল লাগল। এর আগে কোভিডের সময় অনেক পুজো উদ্বোধন করেছিলাম এই ভাবে নবান্ন থেকে। সবাই মিলিত হয়েছেন। সবাইকে দেখতে ভাল লাগছে। আমরা সবাইকে অভিনন্দন জানাই।”আরও বলেন, বিভিন্ন জেলার যে সমস্ত পুজো তিনি উদ্বোধন করেছেন তাঁদের অনেক উদ্যোক্তাদেরকে তিনি বেশ ভাল করেই চিনতে পারছেন। এরপরেই বলেন, ভার্চুয়াল ভাবে উদ্বোধন করার এই সুবিধা বেশ ভালো। এরফলে সরাসরি তিনি সব জেলার পুজোর সমস্ত আয়োজন দেখতে পান। ধামসা-মাদল-ঢাক-ঢোল- উলুধ্বনি-শঙ্খধ্বনি নিয়ে আয়োজন করা সমস্ত অনুষ্ঠানও উপভোগ করা যায়। গত দু’বছরে নবান্ন থেকে অনাড়ম্বর ভাবে পুজো উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়েছিল। এবারে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে আয়োজন আরও ভালো হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য পুজো কমিটিগুলির উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, এভাবে পুজো উদ্বোধন করাতে চাইলে পুজো কমিটিগুলি জেলাশাসক এবং এসপি’র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আধিকারিকরা সেই রিপোর্ট পাঠাবেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে। বেশ কয়েকটা পুজো কমিটি মিলে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। পুজোর সময় সব রাস্তা সচল রাখার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন পুজো কমিটির ভলেন্টিয়ররা উৎসবের দিনগুলিতে পুলিশকে রাস্তা সচল রাখতে সাহায্য করেন, সেই কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানান। রাজ্যবাসীকে মহালয়া’র দিনে পুজোর শুভেচ্ছা জানান তিনি। ঘোষণা করেন, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির নামে রাস্তা ও পার্ক নির্মাণের। এদিন তিনি বলেন, পুজোর আমেজ থাকলেও তাঁর মন ভারাক্রান্ত বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র প্রয়াত হয়েছেন বলে। তাঁদের অনুপস্থিতি মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানান।  শ্রদ্ধার সঙ্গে এদিন প্রবাদপ্রতিম শিল্পীদের স্মরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।