বৃহস্পতিবার বিভিন্ন খেলায় বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদের সম্মান জানাল রাজ্য সরকার। আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে খেলাশ্রী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভিন্ন মেজাজে পাওয়া গেল মুখ্যমন্ত্রী। ব্যাট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মন্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলার রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। খেলাশ্রী প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নতুন প্রকল্পে রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়াবিদরা মাসিক ১০০০ টাকা করে সাম্মানিক ভাতা পাবেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৬০০ প্রাক্তন খেলোয়াড়কে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পদকজয়ী বাংলার ক্রীড়াবিদদের চাকরি দিতে নতুন আইন আনবে রাজ্য। নতুন নিয়ম তৈরির নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিবকে। এদিন ধনধান্য অডিটোরিয়ামে রাজ্যের ৩২২ জন কৃতী খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিভিন্ন খেলোয়াড় ও তাঁদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন রিচা ঘোষ, তিতাস সাধু, মুকেশ কুমার, অনুষ আগরওয়াল, অতনু দাস, প্রণতি দাস, মৌমা দাস, সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়, ঐহিকা মুখোপাধ্যায়, আজিবুর মোল্লার মতো বাংলার সফল ক্রীড়াবিদরা। বাংলার ফুটবল দলকেও পুরস্কৃত করা হয়। ছিলেন ঝুলন গোস্বামীর মতো ক্রিকেট কিংবদন্তিও। পুরস্কার প্রদানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সুন্দরবন কাপ, জঙ্গলমহল কাপ, রাঙামাটি কাপ, সৈকত কাপ, তরাই ডুয়ার্স কাপ-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আমরা আয়োজন করি। যারা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স হয়, তাদের আমরা পুলিশে চাকরি দিই। ইতিমধ্যেই আমরা ৪৩০০ জন খেলোয়াড়কে চাকরি দিয়েছি।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘সোনা, রুপো ও ব্রোঞ্জজয়ীরা সরকারি চাকরি পাবে। আমরা একটা বিশেষ আইনের মাধ্যমে আপনাদের নিয়ে আসব। আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে। যাঁরা পুরস্কার পেলেন তাঁদের মধ্যে কেউ যদি মনে করেন চাকরি করতে ইচ্ছুক, আমি তাঁদের বলব আপনাদের জীবনপঞ্জী অরূপ বিশ্বাসের কাছে দিন।’’ ক্রীড়াবিদদের জন্য ক্রীড়া দফতরে আলাদা একটা ডেস্ক রাখার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ক্রীড়াবিদের ‘মাথা উচুঁ খেলা’র বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আরও অনেক সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ আনতে হবে। মাথা উচুঁ করে খেলতে হবে। খেলতে যখন যাবেন, জয় বাংলা বলতে বলতে কাপটা ছিনিয়ে নিয়ে আসবেন’। অনুষ্ঠানে মোট ৬ কোটি ৪২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ৩২২ জন ক্রীড়াবিদকে। শ্যুটিং, তিরন্দাজি, হকি ব্যাডমিন্টন, টেবল টেনিস, ফুটবল-সহ বিভিন্ন খেলার অ্যাকাডেমি তৈরিতেও জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।