রাজ্য নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মন্তব্যের ২৪ঘণ্টার মধ্যেই কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর কথায়, এক্তিয়ার বর্হিভূত কাজ করছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী যা করছেন করতে চাইলে নির্বাচনে লড়ে জিতে আসুন। একই সঙ্গে উপাচার্য বিল আটকানো নিয়ে সিভি আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামের মঞ্চ থেকে আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে সরাসরি রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী । বলেন, “আমরা কাজ করব। আর উনি সবকিছু আটকে দেবেন। এটা বরদাস্ত করব না।” এর পরেই প্রবল আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওনার কাজ সংবিধানে লেখা রয়েছে। তার বাইরে বেরিয়ে গায়ের জোরে যা খুশি করা যাবে না। তেমন মনে হলে বিজেপির হয়ে ইলেকশনে দাঁড়ান। জিতে এসে দেখান। তবে ১০০ বছরেও হবে না। কারণ, ততদিনে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে।” রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে জড়ায়। অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলেই ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য় নিয়োগ করেছেন আনন্দ বোস। বিল আটকানো নিয়ে রাজ্যপালকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আপনার সৎসাহস থাকলে বিধানসভায় শিক্ষা সংক্রান্ত যে বিলটা তৈরি হয়েছে, সেটা পাশ করিয়ে দিন। তা না করে আপনি ছাত্রছাত্রীদের রাজভবনে ডেকে বলবেন, দাঙ্গা কাকে বলে, দুর্নীতি কাকে বলে। এটা রাজ্যপালের কাজ?” এদিন তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গর্ভনর মহাশয়, কালো চশমা পড়ে জ্ঞান দিয়ে বেরচ্ছেন। আপনি কালো চশমা পড়ুন, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে ভিসি করেছেন, যিনি কেরালায় আইপিএস ছিলেন। যার সঙ্গে শিক্ষার কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের আপত্তিটা এখানেই।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”ঝাড়গ্রামে ভিসি ও রেজিস্টারের পদ শূন্য রয়েছে। আমি আজই এই দুটো পদে নাম ঠিক করে দিয়ে যাব।” রাজ্যে হিংসার অভিযোগ তুলে রাজভবনে পিস খুলেছেন আনন্দ বোস। সাম্প্রতিক সংযোগ দুর্নীতিদমন সেল। এর পাশাপাশি পিস ট্রেন চালানোর কথাও বলেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে আগেই তাঁকে নিশানা করেছেন শাসকদলের নেতা কর্মীরা। এবার তাঁকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।