সদ্য শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন । এবারের নির্বাচনে রাজ্যে ২৯ টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। তবে ফলাফল পর্যালোচনা করার সময় দেখা গিয়েছে, পুর এলাকাগুলিতে ভালো ফল করতে পারেনি দল ৷ সে কারণে এবার পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জানা গিয়েছে, বৈঠকের জন্য় সোমবার নবান্নে পৌরসভার চেয়ারম্যানদের ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি ৷বৃহস্পতিবার নবান্নে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক, জেলা শাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, এই ফলাফল পর্যালোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, হয়তো পৌরসভার পরিষেবায় খামতি ছিল । আর সেই কারণেই একাধিক এলাকার মানুষের একটা বড় অংশ তাঁদের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন । তাই এবার পৌরসভা এবং পৌর নিগমগুলির কাজকর্ম পর্যালোচনা করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো । জানা গিয়েছে, সোমবারের বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনে পৌরসভার কাজকর্ম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে । পৌর পরিষেবাতে কোনও খামতি রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁর কাছে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পৌরসভার কাজকর্ম নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে । রাস্তা, জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে একাধিক পৌরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাঁর কাছে ৷ এই আবহে সোমবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌর প্রতিনিধিদের কী বার্তা দেন, সে দিকে নজর সকলের ৷ অন্যদিকে, রাজ্যে বিভিন্ন দফতরে বিদ্যুতের অপচয় নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বিদ্যুতের অপচয় নিয়ে সরব হন তিনি । অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে এসি চলে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি । উত্তরবঙ্গের হলং ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বন বাংলো ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে । পর্যালোচনা বৈঠকে সেই বিষয়টিও উঠে আসে । বারবার শর্ট সার্কিটের ঘটনা কেন ঘটছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা ভালো নয় ৷ গত কয়েক বছর ধরে বারবার মুখ্যমন্ত্রী খরচের উপর নিয়ন্ত্রণের কথা বলছেন । বারবার প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বার্তা দিয়েছেন, সরকারি অর্থের অপচয় কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় । এদিনের বৈঠকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, এভাবে বিদ্যুতের অপচয় আর বরদাস্ত করা হবে না । এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপাররা । সেখানেই বিদ্যুতের অপচয় নিয়ে সরব হন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান । তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, বিদ্যুতের বিল কমাতে হবে । দফতরের এসি 26 ডিগ্রির উপরে চালানো যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । প্রয়োজনে সরকারি প্রতিটি ভবনের মাথায় সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷