জেলা

আলিপুরদুয়ারের জনসভা শেষে ফের পায়ে হেঁটে সারলেন জনসংযোগ, বৃদ্ধার বাড়িতে ঢুকে খেলেন চা মুখ্যমন্ত্রী

আলিপুরদুয়ারের জনসভা শেষে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ বানারহাট হাই স্কুলের মাঠে মুখ্যমন্ত্রী নামেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এবারই তিনি প্রথম বানারহাটে এলেন, এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন বন্ধ কাঁঠালগুড়ি চা বাগানের শ্রমিকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, করেছিলেন সভা। আজ হেলিকপ্টার থেকে নেমে তিনি চলে যান বানারহাট শীতলা মন্দিরে। মন্দিরের কাছেই প্রতিভা ভদ্রের বাড়ি, ৮৪ বছর বয়সী প্রতিভা দেবী মুখ্যমন্ত্রীকে জোড়হাত করে প্রণাম করতেই তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। ঢুকে যান তাঁর বাড়িতে, চা খেতে চান। প্রতিভা দেবীর পুত্রবধূ রীতা পোখরেল পাহাড়ের বাসিন্দা, সে কথা জেনেই তিনি জানান পাহাড়েরই আরেক মেয়ে সদ্য তার বাড়িরও পুত্রবধূ হয়েছেন। চা খাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছুক্ষণ সেই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ও স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর তিনি সোজা চলে যান শীতলামন্দিরে। মন্দিরে পুজো দিয়ে বানারহাট শহরের ভেতর আদর্শপল্লী এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা তিনি পায়ে হাঁটলেন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের হাতে তুলে দিলেন শীতবস্ত্র, শুনলেন তাঁদের সমস্যার কথা, বাচ্চাদের দিলেন খেলনা ও চকলেট। দশ বছর বয়সী ঐশানী পাল মুখ্যমন্ত্রীর দিকে বাড়িয়ে দেয় তার হোমওয়ার্কের খাতা, মুখ্যমন্ত্রী তাতে অটোগ্রাফও দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বাচ্চাটিকে বলেন “তুমি খুব বুদ্ধিমান তাই সবার মতোও ছবি না নিয়ে অটোগ্রাফ নিলে।” মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এসেছিলেন, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় নানান মন্ত্রীরাও এই শহরে আসেন, তবে কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছুঁয়ে তাকে মনের কথা বলার সুযোগ প্রথমবার পেয়ে আনন্দিত স্থানীয় বাসিন্দারা।মুখ্যমন্ত্রী জানান আজ তিনি এক বৃদ্ধার বাড়িতে চা খেয়েছেন, দার্জিলিং এর মানুষেরা কড়া করে দুধ-চিনি বেশি দিয়ে চা খান, সেই চা বানারহাটে বসে খেয়ে তাঁর ভালো লেগেছে। আজ রাতে তিনি বানারহাটেই থাকবেন, আগামীকাল সভা থেকে বক্তব্য রাখবেন।