এবার বহরমপুরে কাঠগোড়ায় পুলিশ। ঘটনাস্থল বহরমপুরের সৈদাবাদ। অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়ে এক কলেজ ছাত্র ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর ডুবে যায়৷ রবিবার রাত্রে অতনু ঘোষ (২১) নামে দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের মৃতদেহ ভাগীরথী নদী থেকে উদ্ধার হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে বহরমপুর মর্গে পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই অতনু ঘোষ নামে ওই ছাত্র নদীতে ঝাঁপ দিলেও তাঁকে উদ্ধারের কোনও চেষ্টা করেনি পুলিশ৷ এমন কি, ছাত্রের বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়নি৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বহরমপুরে৷ ওই ছাত্রর বাবা নির্মল ঘোষের অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে সৈদাবাদের একটি চায়ের দোকানে গন্ডগোল হয়েছিল। সেই গন্ডগোলে পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছিল অভিযুক্তদের। শনিবার বেলা ১২ নাগাদ তাঁর ছেলে অতনু এক বন্ধুর সঙ্গে বহরমপুরের মণীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের মাঠে খেলাধুলা করছিল। সেই সময় সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ অতনুকে ধরে৷ পুলিশের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে পাশের ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেয় অতনু। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, নদী সাঁতরে পার হয়ে উল্টো দিকে উঠে পালাবে সে৷ নির্মলবাবু বলেন, তিনি বিকেলে বাড়ি পোঁছে দেখেন তাঁর ছেলে বাড়িতে নেই। ছেলের মোবাইল ফোনও সুইচ অফ ছিল। এর পরই অতনুকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবারের সদস্যরা৷ অতনুর কোনও খোঁজ না পেয়ে সৈদাবাদ ফাঁড়িতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনি বলে ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ। শেষে রবিবার রাতে ভাগীরথী নদীর রাধারঘাট এলাকায় অতনুর মৃতদেহ ভেসে ওঠে। ছেলের মৃত্যুর জন্য পুলিশের অমানবিক আচরণকেই দায়ী করেছেন নির্মলবাবু৷ তাঁর প্রশ্ন, ছেলের নামে কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ কেন অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট নিয়ে গিয়ে অতনুকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল না৷ এমন কি, অতনু নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরও সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ তাঁদের কোনও খবরই দেননি বলে অভিযোগ মৃত ছাত্রের বাবার৷ তিনি বলেন, অতনু সাঁতার জানত৷ ভেবেছিল হয়তো নদী পেরিয়ে পালাবে৷ কিন্তু বর্ষার সময় এখন নদীতে জল বেশি৷ পুলিশ চাইলেই নৌকা নিয়ে আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে পারত৷ কারণ দু পারেই ঘাটের কাছে নৌকা থাকে৷