রাজ্যে নির্বাচন ও তার পরবর্তী সংঘর্ষে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে রাজ্য সরকার অনুদান দেবে। এদিন নবান্ন সাংবাদিক বৈঠকে একথাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলমত নির্বিশেষে অশান্তি থামানোর নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নীচুতলার নেতাকর্মীদেরও এদিন সতর্ক করেন মমতা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমি আমার ছেলেদের বলব গণ্ডোগোলে না যেতে। গণ্ডগোল করলে কাউকে ক্ষমা করব না। নির্বাচনী গণ্ডোগল নিয়ে কিছু কথা বলার পরেই মমতা ফোকাস ঘোরান করোনায়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, মন্ত্রীদেরও বলছি, বাইরে থেকে আসলে আরটিপিসিআর টেস্ট লাগবে. মন্ত্রী হলেও। বিশেষ উড়ানে আসলেও আরটিপিসিআর হবে। কোভিড ধরা পড়লেই কোয়ারেন্টাইন। এদিনের সম্মেলনে উঠে আসে পিএম কিষাণ যোজনা প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গও। মমতা বলেন, “১৮ হাজার টাকা করে কৃষকদের টাকা দেওয়া হবে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আমি চাই এবার টাকাটা কৃষকদের দেওযা হোক। ১৪ লক্ষ কৃষকের তালিকা আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।”
গত ২ মে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। কার্যত সে দিন থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে হিংসার জেরে জন কুড়ি বাইশ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী, নেতা বা সমর্থক। বাকিরা গেরুয়া শিবিরের। এই ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও কড়া চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্যকে। সেই সঙ্গে এদিনই তাঁদের পাঠানো চার সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে এসে নবান্নে বৈঠকও করেছেন। তার পরে পরেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা রীতিমত তাত্পর্যপূর্ণ।