পেগাসাস নজরদারি কাণ্ডে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামতে চলেছে কংগ্রেস। স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে যে নম্বরে কানপাতার অভিযোগ উঠেছে, তাতে নাম রয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিরও। নিজের ২টি ফোন নম্বর রয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ওঠার পরেই সংসদেও এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি রাজ্য নেতৃত্বকে “রাজভবন অভিযান” –এর নির্দেশ দিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পেগাসাস ইস্যুতে প্রতিটি রাজ্য ইউনিটকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে হবে। রাজ্যসভাতে সাসপেনশন নোটিশও দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। লোকসভায় পেগাসাস বিতর্কে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকালে ট্যুইটে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস।ট্যুইটারে লেখা হয়, ‘তিনি বলেছিলেন আমাদের লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদীরা। তার বদলে, তিনি দেশের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছেন। আবকী বার জাসুস সরকার।’ পেগেসাস নজরদারির অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাও তদন্ত করা উচিৎ বলেও কংগ্রেসের তরফ থেকে দাবি করা হয়। সোমবার কংগ্রেসের দাবি, “ দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কী বরখাস্ত করা উচিৎ নয়? প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিৎ”। কংগ্রেসের তরফে আরও বলা হয়েছে- “ সাংবিধানিক পদমর্যাদা বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাংবাদিক, প্রতিরক্ষা দফতরের বর্তমান এবং প্রাক্তন প্রধান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, আইনজীবীদের ফোনে নজরদারি চালানো অসাংবিধানিক। বিজেপি সরকারের এই অমার্জনীয় ক্রিয়াকলাপ জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতারই প্রতিফলন”।