পদের অপব্যবহার করে ২ জায়গা থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা বেতন নিয়েছেন সেবি চেয়ারম্যান মাধবী পুরি বুচ। তথ্যপ্রমাণ ও ব্যাঙ্কের নথি দেখিয়ে মাধবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। ১৭ থেকে ২১ সাল পর্যন্ত সেবির স্থায়ী সদস্য হওয়া সত্বেও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে চার বছরে ১৬ কোটির টাকার বেশি বেতন গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে নিয়োগের সময় পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন বলে অভিযোগ খেরার। পদের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরার। তিনি বলেন, “সেবি-র চেয়ারম্যান থাকাকালীন মাধবী পুরী বুচ কীভাবে এবং কেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে বেতন নিচ্ছিলেন? ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। মাধবী পুরী বুচ সেবি-র পূর্ণকালীন সদস্য ছিলেন এবং তার পরে তিনি চেয়ারপার্সন হন। সেবির চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বারা নিযুক্ত হন।” তিনি এও বলেন, “এখনও পর্যন্ত হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে সেবি প্রধানের ভূমিকা বহুবার আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া আদানি তদন্তের আগাগোড়া জুড়েই ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাধবী পুরী বুচ।” খেরার অভিযোগ, সেবি চেয়ারপার্সনের প্রথম বেআইনি কাজটি ছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ১৬.৮০ কোটি টাকা বেতন নেওয়া। তাঁর এই কাজের জন্য অফিস অফ প্রফিটের ধারা ৫৪-এর সরাসরি লঙ্ঘন হয়েছে। তাই যদি একটুও লজ্জা থাকে, তাহলে পদত্যাগ করুন। তিনি আরও বলেন, বুচ সেবি থেকেও বেতন পাচ্ছিলেন, হঠাৎ আইসিআইসিআইয়ে তাঁর বেতন ৪২২ শতাংশ বেড়েছে, যার মানে তিনি একই সঙ্গে অনেক জায়গা থেকে বেতন নিচ্ছেন। তিনি আইসিআইসিআই থেকে ১৬ কোটি টাকা এবং সেবি থেকে ৩ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন, এটি আইন লঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই নয়।” তবে কংগ্রেসের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মাধবী পুরী বুচ। এই ঘটনায় আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।