দেশ

স্পিকার নির্বাচন প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন রাহুল গান্ধির

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ফোনে কথা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর। সূত্রের খবর, স্পিকার নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল, সেই ক্ষোভই সম্ভবত প্রশমনের চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধি।  দীর্ঘ প্রায় ২০ মিনিট দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়ে দেয় সন্ধ্যায় বৈঠকে বসবে। প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেন। এরপর বার্তা যায় সব সাংসদদের কাছে। সন্ধ্যার কিছু পরে মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে যান রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা কল্যাণ বন্দ্যেপাধ্যায়। সেখানে দীর্ঘ বৈঠক হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দুই সাংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জোটধর্ম মেনে অনেক আগেই স্পিকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল কংগ্রেসের। একেবারে শেষ মুহূর্তে কংগ্রেস বিজেপির ওম বিড়লার বিরুদ্ধে কে সুরেশের নাম বলার বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে বাইরে কোনও উচ্চবাচ্য না করলেও কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকে তাদের জোটধর্ম পালনের কথা বারেবারে মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে এটাও তৃণমূলের দুই সাংসদ বেশ ভালভাবেই বুঝিয়ে দেন। কিন্তু জোট রাজনীতিতে এজিনিস যে কাম্য নয় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তা বলে দেওয়া হয়। এই বৈঠকের পর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রসঙ্গত, লোকসভায় স্পিকার পদে এনডিএর প্রার্থী ওম বিড়লার বিপক্ষে বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন কংগ্রেস নেতা কে সুরেশ৷ বুধবার সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের স্পিকার প্রার্থী হিসাবে কে সুরেশকে দাঁড় করানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কে সুরেশকে যে স্পিকার পদে প্রার্থী করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হয়নি, সিদ্ধান্তটিকে একতরফা বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ সংসদের বাইরে অভিষেকের এই মন্তব্যের পরই লোকসভার ভিতরে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় রাহুল গান্ধিকে৷ সেই সঙ্গে রাতে মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে ডাকা ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন।