দেশ

বিজেপি-র জঙ্গি যোগাযোগ মোটেই কাকতালীয় নয়, এটাই বিজেপির দু-মুখো নীতি, অভিযোগ কংগ্রেসের

সাম্প্রতিক দুটি ঘটনায় যেভাবে জঙ্গি-বিজেপি যোগাযোগ সামনে এসেছে, তা মোটেই কাকতালীয় নয়। এমনটাই মনে করে কংগ্রেস। ওই বিরোধী দলের মতে, আসলে বিজেপি বরাবরই দুমুখো নীতি নিয়ে চলে। কংগ্রেসের দাবি, তাদের কাছে এমন বিজেপি কর্মকর্তাদের দীর্ঘ তালিকা আছে, যারা পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত। এআইসিসির মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, স্বাধীনতার আমল থেকে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আসতে না দেওয়ার জন্য তৎকালীন হিন্দু মহাসভা মুসলিম লিগের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। বিজেপি এখনও সেই পরম্পরাই বহন করে চলেছে। উদয়পুর এবং জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে বিজেপির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ সেই পরম্পরাকেই প্রমাণ করছে। এআইসিসির মুখপাত্র বলেন, ওই দুটি ঘটনা বিজেপির দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিয়েছে। রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালালের নৃশংস খুনের ঘটনা অভিযুক্ত সক্রিয় বিজেপি কর্মী। জম্মু-কাশ্মীরে গ্রামবাসীর হাতে যারা ধরা পড়েছে, তারাও বিজেপির কর্মকর্তা। কাশ্মীরে এমন এক লস্কর উগ্রপন্থী ধরা পড়েছে, যার সঙ্গে কেন্দীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবিও পাওয়া গিয়েছে। তিনি জানান, বিজেপি নেতৃত্বের ভারতবাসীকে জাতীয়তাবাদ সেখানোর কোনও অধিকার নেই। যে বিজেপি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত, তারা জাতীয়তাবাদের কী বুঝবে প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার। পবনের অভিযোগ, প্রাক্তন বিজেপি নেতা তারিখ আহমেদ মীর দুবছর আগে হিজবুল কমান্ডার নভিদ বাবুর জন্য অস্ত্র কিনতে গিয়ে দুবছর আগে ধরা পড়েছিল। এই নভিদ পুলিসকর্তা দাবিন্দর সিংহের সঙ্গে ধরা পড়েছিল জঙ্গিদের জন্য অস্ত্র পাচার করতে গিয়ে। এনআইএ-র তদন্তে জানা গিয়েছে, মীর দাবিন্দরের অন্যতম শাগরেদ। ২০১৭ সালে মধ্যপ্রদেশ পুলিসের এটিএস বিজেপির আইটি সেলের সদস্য ধ্রুব সাক্সেনাকে গ্রেফতার করেছিল আইএসআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গেও ধ্রুবর ছবি, ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এরকম একাধিক নজির সামনে রেখে কংগ্রেস মুখপাত্র দাবি করেন, যত দিন যাচ্ছে ততই বিজেপির সঙ্গে জঙ্গি যোগাযোগের সুস্পষ্ট প্রমাণ প্রকাশ্যে আসছে।