মাদকের পর এবার তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধার ৷ ফের আদানি গোষ্ঠীর বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করল শুল্ক দফতর ও ডিআরআই ৷ আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন (APSEZ) কর্তৃপক্ষের তরফে শুক্রবার একথা জানানো হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে গুজরাতে ৷ শিল্পপতি গৌতম আদানির মুন্দ্রা বন্দর থেকে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ আটক করা হয় ৷ করাচি থেকে আসা ওই জাহাজটির গন্তব্য ছিল চিনের সাংহাই ৷ শুক্রবার এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করে আদানি গোষ্ঠী ৷ তাদের তরফে জানানো হয়, ওই জাহাজে যে বিপজ্জনক কোনও পদার্থ রয়েছে, এমন তথ্য সংশ্লিষ্ট নথিতে ছিল না ৷ অথচ সেখান থেকে যে পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে, বিপজ্জনক পণ্যের তালিকায় তার স্থান রয়েছে সপ্তম শ্রেণিতে ৷ যা আদতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ৷ আদানি গোষ্ঠীর তরফে বলা হয়েছে, ‘‘২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর মুন্দ্রা বন্দরে যৌথ অভিযান চালায় শুল্ক দফতর ও ডিআরআই ৷ তারা একাধিক কনটেনার বাজেয়াপ্ত করে ৷ সেগুলি একটি বিদেশি জাহাজে রাখা ছিল ৷ ওই কনটেনারগুলিতে বিপজ্জনক (তেজস্ক্রিয়) পদার্থ ভর্তি করা হয়েছিল ৷’’ আদানিদের দাবি, এই জাহাজের গন্তব্য মুন্দ্রা বা ভারতের অন্য কোনও বন্দর ছিল না ৷ করাচি থেকে চিনের সাংহাই শহরে যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির ৷ কিন্তু, তদন্তের স্বার্থেই মুন্দ্রা বন্দরে জাহাটিকে খালি করা হয় ৷ জাহাজের সমস্ত পণ্য সেখানে নামিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট দুই সরকারি সংস্থা ৷ এই কাজে শুল্ক দফতর ও ডিআরআই-কে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি, এই তৎপরতার জন্য শুল্ক দফতর ও ডিআরআই-কে সেলামও জানিয়েছে তারা ৷ প্রসঙ্গত, চলতি বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে আদানিদের এই বন্দরে একটি জাহাজ থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোগ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ।
প্রতীকী ছবি।