জেলা

পঞ্চায়েতের ভোট গণনার শুরু, এগিয়ে সেই তৃণমূলই

পঞ্চায়েতের রায় কোন দিকে যাবে সেটা জানাত জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলার মানুষ, দেশের মানুষও। কেননা এই নির্বাচনের ফলাফল কার্যত বাংলার মাটিতে নির্ধারিত করে দেবে ২৪’র ভোট যুদ্ধের অভিমুখ।  মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেই পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের গণনার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে গণনা করা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন। তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সর্বশেষে হবে জেলা পরিষদের গণনা। প্রথম ২ ঘন্টায় দেখা যাচ্ছে ৩টি স্তরেই এগিয়ে রয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। কার্যত সকালই বলে দেয় দিনটা কেমন যেতে পারে। তাই আকাশে বাতাসে উড়তে শুরু করে দিয়েছে সবুজ আবির। রাজ্যের ২২টি জেলায় এদিন সকাল থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু ভোটগণনা। পঞ্চায়েত-রায় জানতে প্রথম খোলা হয় পোস্টাল ব্যালট। তারপর শুরু হয় সাধারন ব্যালটের গণনা। রাজ্যে পঞ্চায়েত আসন ৬৩,২২৯টি। পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৯,৭৩০টি। ২০টি জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৯২৮। এর মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩,২২৯ আসনের মধ্যে ৮,০০২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৭,৯৪৪টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯,৭৩০ আসনের মধ্যে ৯৯১টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৯৮১টি আসনে। অন্যরা জিতেছে ১০টি আসনে। প্রথম ১ ঘন্টার ফল বলছে রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ১৬টি আসনে। ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির ৯৭৩০টি আসনের মধ্যে ৯৮১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। নির্দলরা এগিয়ে আছে ১০টি আসনে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩, ২২৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে ৭৯৪৪টি আসনে। নির্দলরা এগিয়ে ৫৩টি আসনে। বামেরা(Left) এগিয়ে ৩টিতে ও বিজেপি এগিয়ে ২টিতে। তবে এদিন গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবরও আসতে শুরু করে দিয়েছে।  মুর্শিদাবাদে সিপিএমের হাতে তৃণমূলের আক্রান্ত হওয়ার খবরও মিলেছে। আবার একাধিক ভোটগণনা কেন্দ্র থেকে অভিযোগ উঠেছে যে শাসক দলের এজেন্টদের গণনাকেন্দ্রের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হলেও বিরোধী দলের এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে বেশ কয়েক জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বিরোধী কর্মী ও সমর্থকেরা। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের ওপর উঠেছে পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ। আবার তৃণমূলের তরফে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের কর্মী ও সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।