জার্মানি আর ফ্রান্স আগেই দেশে প্রবীণ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়া চালু করেছে। এর মধ্যে ব্রিটেনের গবেষণাও বলছে, কোভিডের ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে তেমন কাজ করছে না কোনও টিকাই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গবেষকরা জোর দিচ্ছেন বুস্টার ডোজে। ভারতও কিন্তু এই বুস্টার ডোজ চালুর দিকেই এগোচ্ছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভিরোলজির ডিরেক্টর স্পষ্ট জানালেন, ভবিষ্যতে এদেশেও বুস্টার ডোজের সুপারিশ করা হবে। ব্রিটেনের একটি গবেষণা বলছে, টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও কোভিড প্রতিরোধে সক্ষম হচ্ছেন না গ্রহীতা। দু’টি ডোজ নেওয়ার ৯০ দিন পরেই ফাইজারের আরএনএ মেসেঞ্জার টিকা কার্যকারিতা হারাচ্ছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতা তবুও কিছুটা থাকছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও যাঁরা কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের শরীরে যত সংখ্যক ভাইরাস রয়েছে, টিকা না নিয়ে আক্রান্তদের শরীরে ততই রয়েছে। অর্থাত্ টিকা নিয়ে খুব বেশি প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে না। তাই বুস্টারে জোর দিচ্ছেন গবেষকরা।
ভারতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভিরোলজির ডিরেক্টর ডা. প্রিয়া আব্রাহাম জানালেন, ‘বুস্টার ডোজ নিয়ে বিদেশে গবেষণা চলছে। অন্তত সাত সংস্থার টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে ভাবা হচ্ছে। তবে হু আপাতত এই বিষয়টি স্থগিত রেখেছে, যতদিন না বেশিরভাগ দেশে টিকাকরণ হচ্ছে। এখনও উচ্চ আয় এবং নিম্ম আয়ের দেশগুলোয় টিকাকরণের হারের বিশাল ফারাক রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে বুস্টার ডোজ নিয়ে অবশ্যই সুপারিশ করা হবে।’ এর আগে এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়াও বলেছেন, যেভাবে রোজ কোভিডের নিত্য নতুন প্রজাতি আসছে, তাতে বুস্টার ডোজ বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও অ্যান্টিবডির মাত্রা ধরে রাখার জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।