কলকাতা

লাথি-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর পাশেই লালবাজার! কসবার বিক্ষোভে চাকরিহারাদের সঙ্গে ‘বহিরাগতরাও ছিল’, দাবি সিপির

কসবায় ডিআই অফিস অভিযানে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাই শুধু ছিলেন না, ছিল বহিরাগতরাও ৷ লাঠি ও লাথি-কাণ্ডে প্রবল অস্বস্তিতে থাকা কলকাতা পুলিশ আজ এমনটাই দাবি করেছে ৷ পাশাপাশি ঠারেঠোরে লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর পাশে থাকারই ইঙ্গিত মিলল লালবাজারের তরফে ৷ নগরপাল মনোজ ভার্মা, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ও ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা সাংবাদিক সম্মেলন করে এদিন ফের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরলেন একাধিক ভিডিয়ো ৷ তাঁদের দাবি, পুলিশ প্রথমে সংযতই ছিল ৷ বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে মারধর করার পরই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয় ৷ যে পুলিশকর্মীকে শিক্ষকের উপর লাথি মারতে দেখা গিয়েছে, কার্যত তাঁর পাশে থেকে কোন পরিস্থিতিতে তিনি সেই কাজ করেন, সেই ব্যাখ্যাও দেওয়া হয় ৷ তবে লাথি মারার ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে ৷ কসবায় ডিআই অফিস অভিযানে বিক্ষোভকারী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও লাথি মারার ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয় সমাজের বিভিন্ন মহল ৷ এরপর দু’বার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ভিডিয়ো প্রকাশ করে লালবাজারের তরফে দাবি করা হয় যে, বিক্ষোভকারীদের হামলার পরই ‘সামান্য বলপ্রয়োগ’ করতে বাধ্য হয় পুলিশ ৷ শুক্রবার স্বয়ং নগরপাল মনোজ ভার্মা সাংবাদিক সম্মেলন করে সেদিনের গোটা পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিলেন ৷ লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মী রিটন দাস সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটা শিক্ষকদের অভিযান ছিল । আমরা শিক্ষকদের থেকে কী আশা করি ? তাঁরা ঝামেলা করবেন ? যে আধিকারিক লাথি মেরেছেন, তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টটা দেখুন । তিনি হাসপাতালে ছিলেন । ১৪ দিন পর এমআরআই হবে । কবে হাঁটতে পারবে কে জানে । কানের উপর চড় মেরেছে । যদি চোখে লাগত? কে দায় নিত ? যারা পুলিশকে মারল তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলল না ।” তবে পুলিশকর্মীর লাথি মারার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “পুলিশকে আরও প্রশিক্ষণ দেব । পুলিশের ভুল হতেই পারে । কিন্তু ভুল যেন রিপিট না-হয় সেটা দেখব । আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে মিটিং করি ।”