দেশ

হেমা-কমিটির রিপোর্টে অস্বস্তিতে কেরালা CPIM, বিজয়ন সরকারকে তোপ জেপি নাড্ডার

মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন ফেলেছে হেমা-কমিটি রিপোর্ট। তার জেরে অস্বস্তিতে কেরালার CPIM সরকার। এ নিয়ে বিজয়ন সরকারকে একহাত নিলেন BJP-র জেপি নাড্ডাও। হেমা-কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে কী ভাবে কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা, লিঙ্গ বৈষম্য এবং মহিলাদের উপর নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে। যা তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে। BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার অভিযোগ, কেরালার CPIM নেতারাই এই ধরনের ঘটনায় জড়িত। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেপি নাড্ডা প্রশ্ন তোনে, ‘হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরেও ন্যায়বিচার পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? কেন নিশ্চুপ কেরালা সরকার? কীসের ভয় আপনাদের? আসলে আপনারাই এই হেনস্থার সঙ্গে জড়িত।’ কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে জেপি নাড্ডার প্রশ্ন, ‘হেমা-কমিটি রিপোর্ট স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে কেরালার CPIM নেতারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে এই নিয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রয়োজন। রবিবার কেরালার পালাক্কাড়ে একটি জনসভা থেকে এভাবেই হেমা-কমিটি রিপোর্ট নিয়ে সরব হতে দেখা যায় জেপি নাড্ডাকে। একটি হাই প্রোফাইল যৌন নিগ্রহের ঘটনায় ২০১৭ সালে তৈরি করা হয় হেমা কমিটি। কেরালা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বাধীন এই কমিটি ২০১৮ সালে মামলার তদন্ত করলেও সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছর। মালয়ালম সিনেমার এক অভিনেত্রীকে অপহরণ করে চলন্ত গাড়িতে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে মালয়ালম সিনে জগতে। একের পর এক অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের বিস্ফোরক অভিযোগে সরব হয়েছেন কলাকুশলীরা। ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে অভিনেতা ও সিপিএম বিধায়ক এম মুকেশের বিরুদ্ধে। তাঁর ইস্তফা চেয়ে সরব বিরোধীরা। যদিও এখনই তাঁকে পদত্যাগের পরামর্শ দেয়নি CPIM। দলের রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দন জানিয়েছেন, ‘ন্যাশনাল ইনলেকশন ওয়াচ রিপোর্ট’-র তথ্যে উঠে এসেছে দেশের ১৬ জন সাংসদ এবং ১৩৫ জন বিধায়কের নামে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা আছে। তাঁদের মধ্যে কেউ BJP নেতা, কেউ আবার কংগ্রেসের। TDP-র অনেকেও অভিযুক্ত। কেউই ইস্তফা দেয়নি।