প্রয়াত বামফ্রন্ট সরকারের শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই খবর পাওয়ার পর রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীরা সেখানে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মুজফফর আহমেদ ভবনে তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। ২০২৩ সালের ৯ অগস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব বট্টাচার্য। ২৯ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে কদিন তাঁকে ভেন্টিলেশন (ইনভেনসিভ) সাপোর্টে রাখেন চিকিৎসকরা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। তার সঙ্গে ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তারপর ১২ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। বাড়িতে ফিরে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ৮ টা ২০ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন বুদ্ধদেববাবু। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই খবর পেয়েই বুদ্ধদেববাবুর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে চলে আসেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান, বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাড়িতে বুদ্ধদেববাবুর দেহ রাখা থাকবে। আজ তাঁর শেষযাত্রা হবে না। শুক্রবার শেষযাত্রা হবে বলে জানিয়েছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জানান, বুদ্ধদেববাবু দেহদান করেছিলেন। তাঁর শেষকৃত্য হবে না। দেহ সংরক্ষণের জন্য একাধিক হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর দেহ সংরক্ষণ করা হবে। সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতাল বা নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তাঁর দেহ সংরক্ষণ করা হতে পারে। বেলা ১২ টা ৩০ মিনিটের পরে চক্ষুদান প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। যদিও সরকারিভাবে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।