রাজস্থান রয়্যালস: ১৪১/৫ (রিয়ান ৪৭, ধ্রুব ২৮, সিমরজিৎ ২৬/৩)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৪৫/৫ (রুতুরাজ ৪২, রাচীন ২৭, অশ্বিন ৩৫/২)
৫ উইকেটে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস।
৫ উইকেটে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। কিন্তু প্রথম থেকেই মন্থর গতিতে এগোতে থাকে যশস্বীদের (২৪) ইনিংস। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ৪২ রান উঠল। চেন্নাইয়ের ভাঙাচোরা বোলিং বিভাগের বিরুদ্ধে দাপট দেখাতে পারলেন না বাটলাররা (২১)। তুষার দেশপাণ্ডে, সিমরজিৎরা পিচের পুরো সুবিধা তুললেন। বল থমকে ব্যাটে আসছে। সেখানে ধীর গতির বোলিংয়ে থমকে গেল রাজস্থানের ব্যাটিং। সঞ্জু স্যামসনও বড় রান পেলেন না। শেষের দিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রিয়ান পরাগ (৪৭) ও ধ্রুব জুরেল (২৮)। তা সত্ত্বেও মাত্র ১৪১ রান তুলতে পারল রাজস্থান রয়্যালস। এত স্বল্প পুঁজি নিয়ে জেতা একপ্রকার অসম্ভব। শুরুতে উইকেট তুলে নিতে পারলে তবু কিছুটা সম্ভাবনা ছিল রাজস্থানের। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ১২ রান দিলেন সন্দীপ শর্মা। বরং অশ্বিন-চাহালের স্পিন জুটি চাপে রেখেছিল চেন্নাইকে। কম রানে ফিরে যান রাচীন রবীন্দ্র (২৭) ও ড্যারিল মিচেল (২২)। ম্যাচ যত এগোতে থাকে, তত রানের গতি কমতে থাকে চেন্নাইয়ের। তাদের অস্ত্রেই আঘাত করতে থাকেন আবেশ খানরা। সেখান থেকে অধিনায়কের মতো ইনিংস খেললেন রুতুরাজ (৪২)। ফিল্ড অবস্ট্রাকশন করে আউট হলেন জাদেজা। ম্যাচ জিততে তখনও ২১ রান বাকি। ক্রিজের মাঝপথ দিয়ে দৌড়তে গিয়ে সঞ্জুর ছোঁড়া বল তাঁর পিঠে লাগে। আম্পায়ার আউট দিলে রীতিমত বিরক্ত হন তিনি। জাদেজা ফিরে গেলেও বিন্দুমাত্র চিন্তার মুহূর্ত তৈরি হয়নি রুতুরাজের জন্য। তাঁর দাপটে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই। কিন্তু ধোনিকে ব্যাট হাতে দেখার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেল চিপকের দর্শকের। ম্যাচের আগে সমর্থকদের মাঠে অপেক্ষা করার আর্জি জানায় চেন্নাই। সেটা কি ধোনি বিদায়ের আয়োজন? জল্পনা ছড়িয়েছিল ক্রিকেট মহলে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ধোনি। ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ের অনেকটাই এগিয়ে রইল চেন্নাই। উঠে এল তিন নম্বরে। শেষ চারের যুদ্ধের শেষ ম্যাচটি হবে চিপকে। ফাইনালও এই মাঠেই। সেখানে কি ফিরতে পারবেন ধোনি? অপেক্ষায় থাকবেন চেন্নাই ভক্তরা।