কলকাতা

সন্দেশখালির ইস্যু নিয়ে নবান্নের থেকে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। শনিবারই রাজভবনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির বিধায়কদের একটি দল গিয়েছিল। বিজেপি তরফে রাজভবনে যাওয়া হলেও রাজ্যপাল রয়েছেন কলকাতার বাইরেই। তাই রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সাক্ষাৎ হয়নি। যদিও রাজভবনের সিঁড়িতে বসেই বিক্ষোভ করেছেন বিজেপির বিধায়করা। রাজভবন সূত্রে খবর, এ দিন রাজভবনে সে অর্থে কোনও আধিকারিকও ছিলেন না। তবে সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রিপোর্ট চেয়েছেন নবান্নের থেকে বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। বর্তমানে রাজ্যপাল বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। সেখান থেকেই নবান্নের কাছ থেকে এই রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল বলে রাজভবন সূত্রে খবর। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সূত্রে খবর, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কথাও বলেছেন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, রবিবারের মধ্যেই কলকাতায় ফিরতে পারেন রাজ্যপাল। গত তিনদিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ আন্দোলন হয়ে যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা সন্দেশখালিতে। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়েছেন এলাকার গ্রামবাসীরা। যদিও শনিবার কোন বিক্ষোভ আন্দোলন দেখা যায়নি সন্দেশখালিতে। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার পর থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল সন্দেশখালি এলাকায়। তা নিয়ে গোটা সন্দেশখালি জুড়েই প্রচার করেছে পুলিশ।