শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল মোচা । অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় মোকা আছড়ে পড়তে পারে মায়ানমার এবং বাংলাদেশ সীমান্তে। প্রাথমিকভাবে উত্তরমুখী হলেও আজ দিক পরিবর্তন করবে মোচা। উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে মায়ানমার সংলগ্ন উপকূলে ল্যান্ডফল হবে রবিবার দুপুরে। স্থলভাগে আছড়ে পড়তেই এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার। তবে এই মুহূর্তে মোচার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে। বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেভাবে না পড়লেও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে চলতে পারে মোকার দাপট। মোচার প্রভাব বাংলায় সেভাবে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও, প্রস্তুতি তুঙ্গে। বাংলার পাশাপাশি তৈরি ওড়িশাও। মোচার প্রভাবে যাতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হতে না পারে, তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মোচা শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতেই ৮টি বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলকে তৈরি রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলায় ২০০ জন উদ্ধারকারীকে সব সময় তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিঘা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে। ১২ মে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর, ১৩ মে মোচা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। ফলে ১৩ মে -র দিকে নজর রয়েছে ভারতের মৌসম ভবনের। মোচার প্রভাবে গভীর সমুদ্রে উথালপাতাল শুরু হয়েছে। ফলে মৎস্যজীবীরা যাতে কেউ সমুদ্রে না যান, সে বিষয়ে জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।