ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। আর তার মোকাবিলাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে মাইকিং শুরু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকাতে তৈরি করা হচ্ছে সাইক্লোন সেন্টার। তত্পরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের। এই পরিস্থিতিতে বাংলা-ওড়িশা সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। আগামী ২৫ থেকে ২৬ মে-র মধ্যে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে অস্থায়ীভাবে কোন সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখান থেকেও বায়ুবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে। অন্যদিকে, বিপর্যয় মোকাবিলায় ও বিদ্যুত্ পরিষেবায় রাজ্য সরকারের বিদ্যুত্ দপ্তরের তরফে বিভিন্ন জেলায় গ্যাঙ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গ্যাঙে ৬-৭ জন বিদ্যুত্কর্মী থাকবেন। কলকাতা পৌরসভা এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি করে রাখা হবে গ্যাঙ। তাদের ২৫ মে দুপুর ১ টার মধ্যে সমস্ত কো-অর্ডিনেটারদের কাছে রিপোর্ট জানাতে হবে। আগামী ২৫ মে থেকে বিদ্যুত্ ভবনে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর 8900793503 ও 8900893504। আগামিকাল থেকে সমস্ত বিদ্যুত্ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ২৫ মে থেকে কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিদ্যুত্মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ২২ মে উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেটি আগামী ২৪ মে-র মধ্যে সেটি সাইক্লোনে পরিণত হবে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অভিমুখী হয়ে ক্রমশ বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী ২৫ মে রাত থেকে ২৬ মে সকালের মধ্যে দীঘা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। যার জেরে আগামী ২৫ তারিখ মঙ্গলবার, সন্ধ্যা থেকেই দুই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিঘা-মন্দারমণি উপকূলেও মাইকিং চালানো হচ্ছে। মত্স্যজীবীদের সমুদ্রের যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।