রাজ্যে তৈরি হয়েছে বর্ষার পরিস্থিতি। নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। যার কারণে রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই কমবেশী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে , পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। যার কারণে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণে ভারী বৃষ্টি না হলেও বর্ষার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে .৯ কিলোমিটারে একটি অক্ষরেখা সাউথ-ওয়েস্ট উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে অসম পর্যন্ত গিয়েছে। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম-মধ্য বে অফ বেঙ্গলে সাউথ ওড়িশা কোস্ট-সংলগ্ন অঞ্চলে। এই ঘূর্ণাবর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিমির লেয়ারে রয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৭৫ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, ওয়েস্ট মেদিনীপুর এই জেলাগুলিতে ৫০% থেকে ৭৫ % পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে আবারও উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার– এই জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৫% বেশি। পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলি কাল , রবিবার ৫০-৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ থেকে তিন দিন উত্তরবঙ্গের প্রায় সব ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অতিভারী বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি আর আলিপুর দুয়ারে। আগামীকাল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সর্তকতা দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের সব কটি জেলায় তার সঙ্গে ইস্ট মেদনীপুর এবং মুর্শিদাবাদে। ৮ জুলাই দক্ষিণবঙ্গের কোনও সতর্কবার্তা নেই। উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলায় সতর্কবার্তা রয়েছে।