জেলা

ছাড়পত্রের অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের সেতু

মরিগঙ্গার উপর সেতু তৈরি করতে উৎসাহী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে ছিল রাজ্য। আর কেন্দ্র নয়, রাজ্য সরকার সেতু তৈরি করবে নিজের উদ্যোগেই । সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে । প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় একরকম জীবন হাতে নিয়েই সাগর পারাপার করতে হয় মানুষকে । তাদের এই ঝুঁকিপূর্ণ পথকে সুগম করতে এবার উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার । রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রস্তাব অনুসারে এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৯.৬ কিলোমিটার, যেখানে নদীর উপর রয়েছে ৩.২ কিলোমিটার । রাজ্য সরকারের তৈরি করা পরিকল্পনা অনুসারে চার লেনের এই সেতুটি তৈরি করতে মোট ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা । সরাসরি এই সেতু সাগরদ্বীপকে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে । এই প্রস্তাবিত সেতু নিয়ে রাজ্যের পূর্ত দফতর ইতিমধ্যে একটি ডিপিআর তৈরি করে ফেলেছে । তৈরি করা হয়েছে ব্লু প্রিন্টও । এবার বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস সেতু নির্মাণের এই খরচের যৌক্তিকতাও যাচাই করবে । তাদের ছাড়পত্র মিললেই পরবর্তী কাজ শুরু হবে । এই মুহূর্তে রাজ্যে কোষাগারের অবস্থা ভালো নয় । অনিচ্ছা সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের জন্য এখানে টোল গ্রহণ করতে হবে রাজ্যকে । এই ব্রিজ তৈরি হলে সাগরকে কেন্দ্র করে সারা বছর অন্তত 20 লক্ষ পর্যটক মিলবে । কারণ এখন জলপথই দ্বীপে পৌঁছনোর একমাত্র উপায় । তাই বহু পর্যটক সাগর মেলাতেও আসতে চান না । এছাড়া দ্বীপে থাকা সাধারণ মানুষ তাদের কৃষিজ পণ্য অথবা অন্য দরকারে তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে পারেন না । এখনও তাদের একমাত্র ভরসা এই জলপথ । রাজ্য পূর্ত দফতর আর্থিক সংকটের জন্য পিপিপি বা বিওটি মডেলের বদলে হাইব্রিড অ্যানুইটি মোড অর্থাৎ হ্যাম মডেল সামনে রেখে এই সেতু নির্মাণ করতে চায় । এতে মূল প্রকল্পের নির্মাণ খরচের ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার দেবে । বাকি টাকা নির্মাণকারী সংস্থা দেবে । তিন বছরের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ করে ১৫ বছর ধরে টোল বসিয়ে সেই টাকা তুলে নেবে সংস্থা । এই সময় ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও নির্মাণকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে । সূত্রের খবর, এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যসচিব রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ।