সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সৌরভ দাস এবং দর্শনা বণিক। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ে সারলেন তাঁরা। দক্ষিণ কলকাতার একটি ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছে তাঁদের বিবাহ বাসর। সেখানেই এদিন গোলাপে সাজানো হুডখোলা গাড়িতে বিয়ে করতে আসেন সৌরভ দাস। এদিন পিঁড়িতে করে নয়, বরং একাই হেঁটে মঞ্চে আসেন দর্শনা। পান পাতা ঢেকে ঘোরেন সৌরভকে। তারপরই শুভদৃষ্টির আগে একটু নেচেও নেন আনন্দে। শুভদৃষ্টিতে স্ত্রীকে দেখেই চেঁচিয়ে ওঠেন সৌরভ। মালাবদল সেরেই স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। খান চুমুও। দীর্ঘদিন প্রেমের পর অবশেষে তাঁদের প্রেম নতুন ধাপে পা দিল। পর্দার প্রেম এবার বাস্তবের সিলমোহর পেল। অভিনেতার পরনে ছিল সাদা পঞ্জাবি এবং ধুতি। সঙ্গে নিয়েছিলেন লাল জারদৌসি ওড়না। অন্যদিকে দর্শনা বণিক যেমন আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি একেবারে সাবেকি সাজেই সাজবেন, তেমনটাই এদিন দেখা গেল তাঁকে। লাল টুকটুকে বেনারসি পরেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল ম্যাচিং ব্লাউজ এবং গা ভর্তি সোনার গয়না। সঙ্গে মাথায় শোলার মুকুট, দু হাতে ভর্তি মেহেন্দিও দেখা যায়। এদিন অন্যান্য সমস্ত নিয়ম আচার পালন করার পর রীতি মেনেই সৌরভ দর্শনাকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। সিঁদুর পরিয়ে টেনে দেন লজ্জাবস্ত্র। বন্ধু, বান্ধব, আত্মীয়দের সামনেই সুসম্পন্ন হল সৌরভ-দর্শনার বিয়ে। প্রকাশ্যে এল তাঁদের সিঁদুরদান থেকে বিয়ের অন্যান্য আচারের ছবি। সিঁদুরদানের পর লাল রঙের লজ্জাবস্ত্রে মুখ ঢেকে লাজুক মুখে সৌরভের পাশে বসে থাকতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। সৌরভ দর্শনার বিয়েতে এদিন এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ টলিউডের একাধিক রথী মহারথীরা। ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। মেনুতেও ছিল এলাহি আয়োজন। বসেছিল নহবত। গান, সুর, মন্ত্রে বাঙালি রীতিনীতি মেনে সৌরভ, দর্শনার চার হাত এক হল এদিন।