দিল্লি হাইকোর্ট বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী অনন্ত দেহদরয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ৷ বিচারপতি শচীন দত্ত এই আবেদন খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন । তিনি বলেন, “আমি নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দিয়েছি ৷” মহুয়া মৈত্র নিশিকান্ত দুবে এবং অনন্ত দেহরায়কে অবমাননাকর পোস্ট করা থেকে বিরত রাখার দাবি করেছিলেন আদালতে । আদালত গত বছরের ২০ ডিসেম্বর এই মামলার রায় সংরক্ষণ করেছিল ৷ সোমবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করে আবেদন খারিজ করে দেওয়া হল ৷ ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে লোকসভা থেকে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ বাতিল করা হয়েছে । মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠে ৷ লোকসভার এথিক্স কমিটি অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করার এই অভিযোগকে সত্যি বলে বিবেচনা করে এবং মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলের সুপারিশ করেছিল । এরপরেই সাংসদ পদ হারান এই তৃণমূল নেত্রী ৷ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ করেন । তাঁর অভিযোগ, মহুয়া ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন এবং আদানি সম্পর্কে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন ৷ এমনকী হিরানন্দানির সঙ্গে মহুয়া তাঁর লগ-ইন পাসওয়ার্ডও শেয়ার করেছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের । মহুয়া এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ তিনি দাবি করেন, বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী অনন্ত দেহদরয় তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন । নিশিকান্ত দুবে ১৫ অক্টোবর ২০২৩ সালে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে । পাশাপাশি আইনজীবী অনন্ত দেহদরয় নিশিকান্ত দুবেকে একটি চিঠি লিখেছিলেন ৷ তাতে জানান, তিনি সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করেছেন যে মহুয়া মৈত্র হিরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এবং সংসদে প্রশ্ন করেছেন । আইনজীবী তাঁর অভিযোগের সমর্থনে সিবিআইয়ের কাছে প্রমাণও পেশ করেছিলেন । অনন্ত দেহদরয় দাবি করেছিলেন, মহুয়া হিরানন্দানিকে লোকসভার অনলাইন অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস দিয়েছিলেন এবং যেটি হিরানন্দানি তাঁর পছন্দের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য অপব্যবহার করেছিলেন । মহুয়া মৈত্র এই ভিত্তিতে ৫০ থেকে ৬১ টি প্রশ্ন করেছিলেন । দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করার আগে মহুয়া মৈত্র নিশিকান্ত দুবে, অনন্ত দেহদরয় এবং সংবাদমাধ্যমের সংস্থাগুলিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন । মহুয়া মৈত্র পিটিশনে বলেছিলেন, নিশিকান্ত দুবে এবং অনন্ত দেহদরয় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন ।