দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। এফআইআর দায়ের হয়েছে আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে। দিল্লির আবগারি নীতির জেরে শুক্রবার সকাল থেকে সিবিআই মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সূত্রের খবর, দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার তল্লাশিতে মণীশ সিসোদিয়ার বাড়ি থেকে সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই৷ তবে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি বলেই খবর৷ এদিকে ডেপুটির বাড়িতে সিবিআই অভিযানের পর বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ তিনি জানান, অতীতে অনেক তল্লাশি ও অভিযান হয়েছে৷ কিছুই বার হয়নি৷ এবারও কিছুই বার হবে না৷ মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় দিল্লির শিক্ষা মডেল নিয়ে ভূয়শী প্রশংসা করা হয়েছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার হাতেই রয়েছে শিক্ষা দফতর৷ ঠিক যেদিন সংবাদপত্রে ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত ঠিক সেদিনই মণীশের বাড়িতে সিবিআই পাঠানোয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছেন কেজরি৷ তিনি বলেন, ‘দিল্লির শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মডেল নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা চলছে৷ ওরা এসব বন্ধ করতে চায়৷ তাই দিল্লির স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷ উল্লেখ্য আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন৷ সিবিআই সকালে মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি পর এদিন বিকেলে দায়ের করে এফআইআর। সিবিআই-এর ১১ পৃষ্ঠার এফআইআর-এ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় তৎকালীন আবগারি কমিশনার অর্ভ গোপী কৃষ্ণ-সহ তিনজন উচ্চপদস্থ কর্তার নাম রয়েছে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, “মণীশ সিসোদিয়া এবং অন্যরা টেন্ডারের পর লাইসেন্সধারীদের অযাচিত সুবিধা দেওয়ার অভিপ্রায়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি সংক্রান্ত সুপারিশ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।” প্রসঙ্গত, আম আদমি পার্টিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পরই দলের দুই নম্বর নেতা হিসেবে পরিচিত মণীশ সিসোদিয়া। এদিন সকালেই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। শুধু তাঁর বাড়িতেই নয়, আবগারি দফতরের ১১জন আধিকারিকের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সব মিলিয়ে এদিন এই মামলা সংক্রান্ত তদন্তের প্রয়োজনে দিল্লি-সহ দেশের ৭টি রাজ্যের মোট ২১টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সম্প্রতি এই বিষয়ে দিল্লির নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনাকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যসচিব। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, নতুন আবগারি নীতির প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে একাধিক নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে। এরপরই এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিনয় সাক্সেনা।