বিদেশ

ঢাকা বিমান দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৩১

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় দিয়াবাড়িতে সোমবার দুপুর একটা নাগাদ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ভবনে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ বিমান ৷ সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 31 ৷ আহতের সংখ্যা 165 ৷ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ উপদেষ্টা সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “মৃতের সংখ্যা এখন 31 জন ৷ তাদের মধ্যে 25 জনই শিশু । নিহতদের মধ্যে অনেকের বয়স 12 বছরের কম । এখন পর্যন্ত 20টি মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে যে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে ।” আজ দেশজুড়ে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে ৷ অর্ধনমিত রাখা হবে জাতীয় পতাকা ৷ দেশের সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে এদিনের বিমান বিপর্যয় সবচেয়ে ভয়াবহ ৷ দেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী আজ দেশজুড়ে জাতীয় শোক পালন করা হবে ৷ বিমান বিপর্যয়ে গতকালই শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এর আগে 2008 সালে, ঢাকার বাইরে আরেকটি F-7 প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয় ৷ ওই বিমানের পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল ৷ সোমবার দুর্ঘটনা ঘটার সময় স্কুলটিতে ক্লাস চলছিল ৷ এফটি-7 বিজিআই মডেলের বিমান ভেঙে পড়তেই হাহাকার পড়ে যায় ৷ দাউদাউ জ্বলতে শুরু স্কুল ভবনের একাংশ। ঝলসে যায় পড়ুয়ারা ৷ আর্তনাদ ও ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় ওই চত্বর ৷ একে খন্দকার বিমান ঘাঁটি থেকে প্রায় 11 কিলোমিটার দূরে উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজটি অবস্থিত ৷ ওই এলাকায় মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু করে অসংখ্য দোকান এবং বাড়িঘর রয়েছে ৷ বাংলাদেশের বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, মাইলস্টোন স্কুলে ভেঙে পড়া এফটি-7 বিজিআই বিমানটি চিনের তৈরি ৷ বাংলাদেশ সেনার প্রেস বিভাগ ইন্টার সার্ভিসেস রিলেশনস ডিরেক্টরেট (আইএসপিআর) একটি বিবৃতিতে জানায়, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মহম্মদ তৌকির ইসলাম প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানে ছিলেন ৷ যান্ত্রিক ত্রুটি অনুভূত হতেই ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ৷ কিন্তু তার মাঝেই ভেঙে পড়ে ওই প্রশিক্ষণ বিমান ৷