প্রথম আবির্ভাবেই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি ৷ অস্কার ব্রুজোঁর ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফাইনালে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন দল ৷ ডার্বি জিতেও সেমিফাইনাল হেরে আবার আঁধারে লাল-হলুদ ৷ আনোয়ার আলির বিশ্বমানের গোলে সমতায় ফিরেও লাভ হল না ৷ অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করে ডুরান্ড থেকে বিদায় নিল ১৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা ৷ দুই স্প্যানিশ কোচের ফুটবল মগজাস্ত্রের দ্বৈরথ ৷ ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল গুণমানের নিরিখে বিবর্ণ হলেও উত্তেজনায় ভরা ৷ ইস্টবেঙ্গল ধারেভারে এগিয়ে তা মেনে নিয়ে কিবু ভিকুনা প্রতি-আক্রমন নির্ভর ছক সাজিয়ে ছিলেন ৷ পরিস্থিতি অনুসারে সঠিক নীল নকশা। প্রথমার্ধে সেই ছকে ভর করেই অন্তত দু’বার গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল আই লিগের দলটি ৷ উল্টোদিকে বল দখলের শতকরা হিসেবে ইস্টবেঙ্গল সামান্য এগিয়ে থাকলেও গোল মেলেনি প্রথমার্ধে ৷ আনোয়ার এবং মিগুয়েলের শট অল্পের জন্য বাইরে যাওয়া ছাড়া লাল-হলুদের জন্য প্রথমার্ধ নিষ্প্রভ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল খোলস ছাড়ল। ইস্টবেঙ্গলের তাগিদ বেশি। তাই আক্রমণও বেশি। তবে ৬৬ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার। ফ্রি-কিক থেকে মিকেল কোর্তাজার বাই-সাইকেল ভলিতে ডায়মন্ড হারবারকে এগিয়ে দেন ৷ পরের মিনিটেই দূরপাল্লার শটে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান আনোয়ার আলি। তবু শেষরক্ষা হল না ৷ ৮৩ মিনিটে প্রাক্তনী জবি জাস্টিনের গোলে যুবভারতীতে আঁধার নামল লাল-হলুদে ৷ এরপর একের পর এক আক্রমণ করেও লাভের লাভ হল না ৷ গোল লক্ষ্য করে 16টা শট নিলেও সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে ডুরান্ড সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল ৷ লাভ হল মহম্মদ রশিদের আগমনেও ৷ অন্যদিকে অসম্ভবকে সম্ভব করে প্রথম আবির্ভাবেই ফাইনালে কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবার এফসি ৷


