ধূপগুড়িতে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে গ্রেফতার মোট 21 জন ৷ রবিবার অভিযুক্তদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ ৷ 21 জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷ ধৃত 21 জনের মধ্যে 11 জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। পাশাপাশি এদিন নতুন করে ধূপগুড়ি ষ্টেশন এলাকায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে স্থানীয় থানার আইসি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলা পুলিশ সুপারকে এই বিষয়ে ফোন করা হলেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।এদিন, অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী সৌজিৎ সিংহ জানান, পুলিশ তিনটি মামলায় 21 জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেছে। কিন্তু কার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ, পুলিশ সেটা উল্লেখ করেনি। পাশাপাশি, অনেক অভিযুক্তদের শরীরে আঘাত রয়েছেও বলে আইনজীবী জানান ৷ পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন এমন কেন হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ যদিও পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্তদের আইনজীবী দুঃখপ্রকাশ করেছেন ৷সৌজিৎ সিংহ আরও জানান, আদালত 21 জনের মধ্যে 11 জনকে 5 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি 10 জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এমন মানুষকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আগামী 24 তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৷ প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান অভিযুক্তদের আইনজীবী ।তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করছি। আমরা আগামিদিনে উচ্চ আদালতে যাব সুবিচারের আশায় । তারমধ্যেই সংঘর্ষ বাঁধে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ৷ ঘটনায় আহত হন 3 পুলিশকর্মী। দু’জন পুলিশ অফিসারের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এলাকায় জারি হয় 144 ধারা ৷ রবিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় ৷ পাশাপাশি, নতুন করে এলাকায় অশান্তি শুরু হলে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷