আরজিকর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতন করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে উলুবেড়িয়া কলেজে এক সচেতনতা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোক্তা উলুবেড়িয়া থানা, উলুবেড়িয়া মহিলা থানা এবং উলুবেড়িয়া কলেজ। কর্মশালায় পড়ুয়াদের বাল্যবিবাহ এবং মানবপাচার রুখতে রাজ্যের স্বয়ংসিদ্ধা প্রকল্প এবং বিভিন্ন সাইবার অপরাধ সম্পর্কেও জানানো হয়।অপরাধ যাতে না ঘটে, বা ঘটলেও কীভাবে পুলিশি ও আইনি সাহায্য পাওয়া যায়- সেই ব্যাপারে কর্মশালায় পুলিশ আধিকারিকরা জানান ছাত্রছাত্রীদের। তাঁরা বলেন, বিপদে পড়লে মাথা ঠান্ডা রেখে ১১২ ডায়াল করে পুলিশকে সঠিক তথ্য দিতে হবে। পাশাপাশি বিপদ এড়াতে নিজের এলাকার থানার ফোন নম্বর কাছে রাখার পরামর্শও দেন তাঁরা। পুলিস আধিকারিকদের মত, এই ফোন নম্বর নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ আধিকারিকরা জানান, সঠিক তথ্য অপরাধীকে শনাক্ত করতে, শাস্তি দিতে সাহায্য করে। এদিনের কর্মশালায় ছাত্রছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি ও তথ্য শেয়ার করা নিয়ে সচেতন থাকতে বলেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পরিচিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বা সম্পর্ক তৈরি করার আগে তাঁর সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করার উপর জোর দেন। অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোন নিয়েও ছাত্রছাত্রীদের সর্তক করা হয়। যেসব দোকান থেকে উপযুক্ত তথ্য ছাড়াই মোবাইলের সিম কার্ড দেওয়া হচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন তাঁরা। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের আস্থা জোরদার করতে এদিন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের উইনার্স টিম শ্যামপুরের কমলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, ঝুমঝুমি গ্রামীণ হাসপাতাল টহল দেয়। পাশাপাশি শ্যামপুরের সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয়, শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, অনন্তপুর সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়েও টহল দেয় মহিল পুলিসের ওই দলটি।