কলকাতা

স্বাস্থ্য বিধি মেনে আজ প্রতিমা নিরঞ্জন

‌আজ বিজয়া দশমী। রীতি মেনে প্রতিমা নিরঞ্জন আজই। সেজন্য ইতিমধ্যেই গঙ্গার ঘাটগুলোতে মোতায়েন কড়া নিরাপত্তা। এই ‘‌নিউ নরমাল’‌ সময়ে সামাজিক দূরত্ববিধি পালনের জন্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গঙ্গার ৩০টি ঘাটে আজ প্রতিমা নিরঞ্জন বিসর্জন দেওয়া যাবে। মূল ঘাটগুলির মধ্যে রাজাবাগান, নাদিয়াল, গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি করে, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় তিনটি ও উত্তর বন্দর এলাকায় ১৮টিতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। এছাড়াও রয়েছে ছ’টি ছোট ঘাট। সেখানেও প্রতিমা নিরঞ্জন সম্ভব। শহরের নির্ধারিত কোনও সরোবর বা পুকুরেও প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারে বিভিন্ন পুজো কমিটি।জানা গেছে, ১৮০০ প্রতিমা আজ নিরঞ্জন হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন

তিন হাজার পুলিশকর্মী। গঙ্গার ঘাট এবং ঘাটে যাওয়ার রাস্তায় ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ মোতায়েন থাকছেন। এছাড়াও থাকবেন এসিপি পদমর্যাদার পুলিশ। গঙ্গাবক্ষে স্পিডবোটে চলবে নজরদারি। রিভার ট্রাফিক গার্ড, বিপর্যয় মোকাবিল বাহিনীও থাকবে।  ডিজে বা মাইক এবার নিষিদ্ধ। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য গাড়ি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ঘাটে যাওয়ার অনুমতিও সকলের নেই। কয়েক জন মাত্র পাবেন অনুমতি। ঘাটে যাতায়াতের জন্য তিনটি লেন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দু’‌টি যাওয়ার এবং একটি ফেরার। সেখানে দূরত্ববিধি বজায় রাখার জন্য নির্দিষ্ট গোল দাগ কাটা রয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জনে আসা প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজারও।  অন্যদিকে, অভিনব উপায়

প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করল ত্রিধারা সম্মিলনী। গঙ্গার ঘাটে গিয়ে নিরঞ্জন করবে না তারা। মণ্ডপের সামনেই একটি বিশাল কৃত্রিম জলাধার তৈরি করে নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  জলাধারটি ২০ ফিট লম্বা এবং ২০ ফিট চওড়া। সেখানেই হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। তার পর ‘ওয়াটার জেট’ দিয়ে প্রতিমার মাটি গলিয়ে কাঠামো তুলে ফেলা হবে। এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। পুজো কমিটির এক সদস্য বললেন, প্রতিমা নিরঞ্জনে অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। প্রতিমা লরিতে তোলা এবং নামানোর জন্য শ্রমিকরা থাকবেন। আর শত চেষ্টা করলেও সব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত দূরত্ব মেনে চলা যাবে না। তাই এভাবেই করা হচ্ছে নিরঞ্জন। তাছাড়া এতে গঙ্গাদূষণও এড়ানো যাবে বলে মত ওই সদস্যর।