হক জাফর ইমাম, মালদাঃ লোকসভা নির্বাচনে জীবনে প্রথম ভোট নিতে গিয়ে চরমভাবে উত্তেজনায় ও আনন্দে ভেসে গেলো মহিলা ভোট কর্মীরা। অনেকেরই বাড়িতে ছোট্ট শিশু ।কারো বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ।কারো বা স্বামী ভোটকর্মী হয়ে বাইরে চলে গেছে।। তবুও সংসার ফেলে এসে এই ধরনের নতুন কাজ পেয়ে রীতিমত উত্তেজনায় ভেসে যাচ্ছে মহিলা ভোট কর্মীরা। মৌমিতা মন্ডল ,অর্পিতা মন্ডল শিপ্রা বিশ্বাস কথিকা বিশ্বাস এরা সকলেই গজল এলাকার বাসিন্দা । এদের কেউ বা অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার, কেউ বা শিক্ষক, এঁদের সবার ভোট গ্রহণ কেন্দ্র শ্যাম সুখী বালিকা শিক্ষা নিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গাজোলের এই চার মহিলা এদিন সকাল সকাল লাইনে দাঁড়িয়েছে। তাদের সমস্ত আসবাব বুঝে নিয়েছে। মালদা কলেজের মাঠে নিজেদের আসবাব মিলিয়ে নেওয়ার ফাকে প্রিজাইডিং অফিসার মৌমিতা মন্ডল জানালেন “আমরা দারুণ এক্সাইটেড একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই আমরা স্বামী দের বা সহকর্মীদের মুখে শুনতাম তাদের ভোট নিয়ে আসার গল্প এবার প্রথমে যখন ভোট ভোটের ডিউটি এল তখন একটু ভয় করছিল ।কিন্তু প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে বুঝলাম কাজটি এমন কোন ভয়ের নয় ।আমরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ পেয়েছি এবং ঠিকঠাকভাবেই ডিউটি করবো। এই কাজ পেয়ে আমাদের খুব আনন্দ লাগছে অর্পিতা মন্ডল সে জানালো বাড়িতে আড়াই বছরের এক শিশু কন্যাকে ভোট নিতে এসেছি শিশুটির জন্য চিন্তা হলেও এখানে ভোটের কাজ করতে এসে চরম আনন্দ হচ্ছে সবাই মিলে যেন একটা হৈ হৈ ব্যাপার ফিস্ট করার মত তাছাড়া আমরা গাজল গাজল নিচ্ছি একই বক্তব্য অপু বিশ্বাসের।