মালদা

লোকসভা ভোটে পরবর্তী হিংসার রাজনীতি অব্যাহত

হক জাফর ইমাম, মালদা: লোকসভা ভোটের পরবর্তী হিংসার রাজনীতি অব্যাহত। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছাড়ালো মালদায়। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাদের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শক বলে অভিযোগ। ঘটনায় বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলের পক্ষ থেকেই মালদা থানায় একটি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাত ১১ টা নাগাদ পুরাতন মালদা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা যায় পুরাতন মালদা পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম নেতা অতুল সরকার বিজেপিতে যোগ দেন৷ অতুলবাবুর স্ত্রী আরতিদেবীর অভিযোগ, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলাম৷ হঠাৎ দেখি ওরা ছুটতে ছুটতে আসছে৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটা ইট আমার কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়৷ ভয়ে আমি ঘরে ঢুকে পড়ি৷ জানালা দিয়ে দেখতে পাই, পাশের বাড়ির শোভন গাঙ্গুলির সঙ্গে আরও দু’জন ছেলে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে৷ তারা আমাদের বাড়ির দিকে ইট-পাথর ছুড়ছে৷ বাবু কর্মকার নামে একটি ছেলেও তাদের সঙ্গে ছিল৷ তারা সবাই তৃণমূল করে৷ তারা বাড়ির সামনে রাখা একটি মোটরবাইক ফেলে দেয়৷ আমার স্বামী বিজেপি করেন৷ সেই সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না৷ গতকাল রাতে আমি গোটা ঘটনা জানিয়ে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি৷ এলাকার বিজেপি নেতা, পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিতাই মণ্ডল বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ খবর পাই, অতুলদার বাড়িতে তৃণমূলের হামলা চলছে৷ সেই খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি৷ থানায় খবর দিলে অফিসার রোহিতবাবুর নেতৃত্বে পুলিশও চলে আসে৷এদিকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শিবাঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, গতকাল পুরাতন মালদা পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি বুথে ভোট হয়েছে৷ সকাল ৬টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভোট চলেছে৷ বুথে কোনোরকম গণ্ডগোল হয়নি৷ মানুষ শান্তিতে ভোট দিয়েছেন৷ সকাল থেকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা চেষ্টা করেছিল, কীভাবে ওখানে ভোটটা নষ্ট করা যায়৷ যাই হোক, ভোট শেষের পর কর্মীরা বাড়ি চলে যায়৷ আমিও আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম৷ বাড়ি যাওয়ার পথে বাইরের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর হামলা চালায়৷ ওই দুষ্কৃতীদের মধ্যে সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, সাহাপুর নগর কমিটির সদস্য নিতাই মণ্ডল, ইংরেজবাজারের তন্তু ঘোষ সহ আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী ছিল৷