মালদা

ছাত্র পেটানোর অভিযোগ উঠল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

হক জাফর ইমাম, মালদা: দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদা পৌর এলাকার শাকমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিগৃহীত ছাত্রের মা৷নিগৃহীত ছাত্রের নাম শুভঙ্কর সাহা৷ তার মা সরস্বতী সাহার অভিযোগ, গত পরশু কৌশিক মাস্টারমশাই ছেলেকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন৷ গতকাল আমি সেকথা মাস্টারমশাইকে বলতে এসেছিলাম৷ আমার কথা শুনে মাস্টার মশাই আমাকে বলেন, তিনি আজও ছেলেকে মেরেছেন৷ আমি দেখি, ছেলের গোটা পিঠ ফেটে গেছে৷ শিক্ষক হিসাবে তিনি কোনও ছাত্রকে এভাবে জানোয়ারের মতো পেটাতে পারেন কি? আমি এর বিচার চাই৷ এর আগেও ওই মাস্টারমশাই ছেলেকে মেরেছিলেন৷ গালে দাগ বসে গিয়েছিল৷ ছেলের জ্বর চলে এসেছিল৷ আমি এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাব৷ আজ আমি প্রতিবাদ জানাতে আবার স্কুলে এসেছিলাম৷ কিন্তু তিনি স্কুলের হাজিরা খাতায় সই করে তালা মেরে চলে গিয়েছেন৷শুধু সরস্বতীদেবীই নন, স্থানীয় বাসিন্দা লতা সরকার বলেন, মাস্টারমশাইয়ের ভয়ে ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসতে চায় না৷ জোর করে তাদের স্কুলে পাঠাতে হয়৷ ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা না করতে পারে৷ কিন্তু সেকথা অভিভাবকদের না জানিয়ে এভাবে কেন মারধর করা হয়? গতবছর আমার ছেলেকেও ওই মাস্টারমশাই বেধড়ক মেরেছিলেন৷ গতকাল তিনি আরেকটি বাচ্চাকে অমানুষিক ভাবে মারধর করেন৷ আমরা ওই মাস্টারমশাইয়ের বিচার চাই৷ স্কুল থেকে সামান্য দূরে শর্বরী এলাকায় কৌশিকবাবুর বাড়ি৷ গোটা ঘটনা জানতে তাঁর বাড়ি যাওয়া হয়৷ বাড়িতে তাঁর উপস্থিতি টের পাওয়া গেলেও ৩০ মিনিটের ডাকাডাকিতে তিনি কোনও সাড়া দেননি৷ এনিয়ে প্রশ্ন করা হয় পুরাতন মালদার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ভরত ঘোষকে৷ তিনি জানান, লোকের মুখে এই খবর পেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগপত্র তাঁর কাছে জমা পড়েনি৷ গোটা ঘটনা না জেনে তিনি কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান।