দেশ

কালো ট্রাঙ্ক রহস্যে বিজেপি-‌র সাফাই

কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও একটি ভিডিও ক্লিপিং টুইটারে শেয়ার করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, হেলিকপ্টার ঘিরে দাঁড়িয়ে এসপিজি রক্ষীরা। ওই সময় হেলিকপ্টারের সামনে থেকে একটি ভারী কালো বাক্স নিয়ে ছুটছেন দু’জন। একটি দেয়ালের পাশে দাঁড়ানো সাদা ইনোভা গাড়িতে সেটি তুলে দেওয়া হয়। দ্রুত বেরিয়ে যায় গাড়িটি। কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, ওই বাক্সে কী এমন ছিল যে, দ্রুতগতিতে বাক্সটিকে সরানো হল? এই বাক্সে কী ছিল? গাড়িটাই বা কার? কোথায় যাচ্ছিল সেটি?‌ কাকে দেওয়া হল ট্রাঙ্কটি?‌ নির্বাচন কমিশনের খতিয়ে দেখা উচিত এ সব। চিত্রদুর্গের বিজেপি সভাপতি কে এস নবীন বলেছেন, ‘‌টেলিপ্রম্পটার, পার্টির লোগো, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, জনসভায় ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরঞ্জাম ছিল ট্রাঙ্কে।‘‌ ওই গাড়িটি প্রধানমন্ত্রীর কনভয়েরই অংশ বলে দাবি করেন তিনি। গতকাল দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, ওই গাড়ি আদৌ এসপিজি কনভয়ের মধ্যে ছিল না। অরুণাচলপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভার ঠিক আগে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১.‌৮ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে সেই ঘটনার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভি ওয়াই ঘোরপাড়ে। কংগ্রেসের দাবি, সাদা পোশাকের লোকেরা যেভাবে কালো ট্রাঙ্কটি নিয়ে ওই ইনোভা গাড়িটির দিকে যাচ্ছিল, তা খুবই সন্দেহজনক। ভোটের মুখে দলের প্রার্থীদের টাকা বিতরণের জন্য টাকা পাচার করা হয়েছে, এমনই সন্দেহ করছে কংগ্রেস। গতকাল সর্ববারতীয় কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মা দিল্লিতে বলেন, ‘এই বাক্সে যদি নগদ টাকা না থাকে, তা হলে সেটি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসিপিজি-ই জানাক। সে বাক্সে কী রাখা হয়েছিল? কেনই বা কনভয়ের বাইরে একটি গাড়িতে তা তুলে দিয়ে সরিয়ে ফেলা হল?‌’‌