জেলা

পূর্ব মেদিনীপুরের জোড়া নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী

পূর্ব মেদিনীপুরঃ আজ পূর্ব মেদিনীপুরের হেড়িয়া ও নিমতৌড়িতে জোড়া নির্বাচনী সভা ঝড় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচারসভার খরচের হিসেব চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হেড়িয়ায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারসভায় মমতা প্রশ্ন তুললেন, ‘‌মোদির প্রচারসভার হিসেব নিক নির্বাচন কমিশন। মোদি এবং অন্য বিজেপি নেতাদের একেকটা সভায় কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়। সেই টাকা কোথা থেকে আনা হয়। টাকার উত্‍স কোথায়। মুম্বই, দিল্লি থেকে এজেন্সি এনে তাদের দিয়ে সভার আয়োজন করা হয়। এব্যাপারে কমিশনকে জানাব।’ এরইসঙ্গে কর্নাটকের চিত্রদুর্গে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থেকে কালো বাক্সো নামানোর উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই ছবিটা সামনে এসে গিয়েছিল বলে লোকে জানতে পেরেছে।’‌ নাম না করে মোদি এবং অমিত শাহ-কে দুর্যোধন প্রধানমন্ত্রী এবং দুঃশাসন নেতা বলে কটাক্ষ করেছেন। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মিথ্যা কথা বলে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র ঘুরিয়ে দিয়ে তাদের ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে উস্কানিমূলর ভাষা ব্যবহার করছেন। কোনও সংবাদচ্যানেল, কোনও সরকারি অফিসার বা প্রতিষ্ঠানকে নিজের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলতে দেন না মোদি,’ এই ভাষাতেই মোদির বিরুদ্ধে এদিন আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ‌ আমজনতা সতর্ক করে মমতা বলেন, ‘‌যে লোকটা নোট বাতিল করতে পারে, সে গণতন্ত্রও বাতিল করতে পারে’‌। ভোটের সময় রাজ্য পুলিসে কমিশনের নির্দেশে রদবদল নিয়ে মমতার পরামর্শ, ‘‌কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের পর চলে যাবে। কিন্তু রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রয়ে যাবে বাংলার পুলিস বাহিনী।’‌ এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে দ্বিতীয় প্রচারসভায় মমতা মোদিকে প্রশ্ন করেন, তিনি দুরন্ত ট্রেনের নাম শুনেছেন কিনা। দুরন্ত ট্রেন তাঁরই চালু করা বলে এদিন জনতাকে স্মরণ করিয়ে মমতা বলেন প্রধানমন্ত্রী জানেনই না জনগণের জন্য তাঁর করা কাজের বিষয়ে। মমতার তীব্র কটাক্ষ, ‘‌ভয়ানক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির অচ্ছে দিন আসলে কৃষক, যুবকের মৃত্যুদিন। মোদি জমানায় বাক স্বাধীনতা হারিয়েছে দেশ। কাজের জবাব চাইলে সিবিআই-ইডি দেখাচ্ছেন মোদি।’ তারপরই কলকাতার দুর্গাপুজোর ৪০টি ক্লাবকে ইডি-র পাঠানো নোটিস নিয়ে মোদির কাছে জবাব চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে কবর দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য, ‘‌এত ইগো কীসের, এত ইগো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না। মোদিকে কেউ বুঝিয়েছে বাংলায় বিজেপির সরকার হচ্ছে। সেজন্য এত ঘনঘন বাংলায় প্রচার করছেন।’‌ তিনি এও বলেন, ২০১৯ বিজেপি ফিনিস।

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/325391248124255/
https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/2357244881172507/