ফেনি রাজ্যে প্রবেশ করে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ। ৮০ কিলোমিটার বেগে খড়গপুর দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে ফেনি । আর তখনই পরিস্কার হয়ে যায় যে শক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে ফেনি।
ওড়িশায় ফেনি আছড়ে পড়েছিল গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ। তার সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছেছিল ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। স্থলভূমিতে প্রবেশ করার পর যে ধ্বংসলীলা সে চালিয়েছিল তার জেরে ৯জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০০জন আহত হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা গেছে । আজ দিনভরে হয়তো আরও পরিস্কার হবে ধ্বংসের আসল চেহারাটা। তবে যে ধ্বংস ওড়িশা দেখেছে, তা এক কথায় ভয়ংকর। এমনই একটা তাণ্ডবের আতঙ্কে প্রহর গুনছিল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলা থেকে সংলগ্ন জেলাগুলি। প্রহর গুনছিল কলকাতা। আবহাওয়া দফতর গত শুক্রবার দুপুরে জানিয়ে দেয় ফেনি রাজ্যে প্রবেশ করবে সন্ধের পর। তবে আরও একটু দেরি করে তা রাজ্যে প্রবেশ করে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ। খড়গপুর দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে ফেনি ৮০ কিলোমিটার বেগে। আর তখনই পরিস্কার হয়ে যায় যে শক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে এই সুপার সাইক্লোন। রাজ্যে প্রবেশ করার পর তা ক্রমে আরামবাগ হয়ে নদিয়া হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোয়। কিন্তু কোথাওই বিশাল একটা লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি সৃষ্টি করেনি। অবশ্যই উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ঢোকার পর রাতভর সেখানে ঝড় হয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টিও হয়েছে। কিছু গাছ পড়েছে। ইলেকট্রিক খুঁটি উপড়ে গেছে। হলদিয়াতে ফেনি ভাল প্রভাব পড়েছে। কিন্তু যাকে ধ্বংসলীলা বলে, যে ধ্বংসলীলা শুক্রবার সারাদিন দেখার পর রাজ্যবাসী আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন তেমন আতঙ্কের তাণ্ডব ফেনি এ রাজ্যে চালায়নি। কলকাতার কাছ দিয়ে গেলেও শহরের ওপর দিয়ে না যাওয়ায় কলকাতায় রাতভর ঝড় হয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি মানে মুষলধারে বৃষ্টি নয়। আর ঝড় মানেও সব ওলটপালট করা ঝড় নয়। কালবৈশাখীতেও এর চেয়ে শক্তিশালী ঝড় দেখে শহর। তবে শুক্রবার সন্ধে নামার পর থেকেই কলকাতা ঝড়-বৃষ্টি পেয়েছে। কিছু জায়গায় গাছ পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কাঁচা বাড়ির চাল উড়ে গেছে। রাজ্যে প্রবেশ করার পর শক্তি হারায় ফেনি । টানা স্থলভাগের ওপর থাকায় শক্তি হারিয়ে তা ক্রমশ বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে। দুপুরের মধ্যেই তা বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে। তবে বাংলাদেশে আর তেমন ঝড়ও হবে না।