ইশিতা উপাধ্যায়, কলকাতাঃ ক্যালেন্ডারের নির্দিষ্ট কতগুলো তারিখ বা দিন, প্রত্যেক মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ কিছু স্মরনীয় বিষয় হয়ে থাকেই, জীবনের বাকী দিনগুলো সেইরকম উল্লেক্ষিত হয় না। এই উল্লেখহীন দিন হঠাৎ যদি আমাদের জীবনে কিছু ঘটে যায় -তাহলে? প্রায় চার বছর পর এমনই এক গল্প নিয়ে চুর্ণী গাঙ্গুলী পরিচালনা করলেন তার নিজের লেখা বাস্তবধর্মী এক কাহিনী-“তারিখ”। যেখানে উঠে এসেছে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় দাঁড়িয়ে সোশ্যালমিডিয়া নির্ভর মানুষের জীবন কিভাবে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী চুর্নী। যেমন, দাপুটে অভিনেত্রী তেমনই তার কলমের জোর। এছাড়া তার আগের ছবি “নির্বাসিত” জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্তের অধিকা, তার সাথে বাড়তি পাওনা পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলীর স্ত্রী। এই “তারিখ” সিনেমায় অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও কৌশিক গাঙ্গুলী। এমন শিল্পীরা যখন কোনো ছবিতে অভিনয়করেন সেই ছবি দেখার দর্শকদের চাহিদা জাগাবে একথা নি:সন্দেহে বলা যায়। সম্প্রতি মুক্তি পেল তারিখের ট্রেলার, এডিট এক্স স্টুডিওতে। যেখানে ছিলেন ছবির কলাকুশলীরা। ছবি নিয়ে মুনমুন কন্যা রাইমা জানালেন, আমি সবার জন্মদিন মনে রাখতে পারি না। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আজ থেকে চার বছর আগে আমি কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলাম, বা কত বছর আগে আমি এই সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত হয়েছিলাম। এ ধরনের ইন্টারেস্টিং তারিখগুলো আমরা মনে রাখতে পারি না। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে, যেন চিন্তা ভাবনার বাইরে গিয়ে মাধ্যমগুলো কিছু লিখে না করে ফেলি। এর বেশী ছবি নিয়ে বলতে পারব না। এর আগে আমি চূর্ণী ছবি নির্বাসিত -তে কাজ করেছিলাম, এটা আমার তার পরিচালনায় দ্বিতীয় ছবি। অভিনেতা শাশ্বতর বলেন, এমনিতে আমি মোবাইল ব্যবহার করি না। তাই বিশেষ দিনগুলি সব সময় মনে থাকে না। এই ছবিতে একটা মেসেজ আছে, যে তুমি হয়তো কোনো বিশেষ দিনকে খুব গুরুত্ব দাও। আবার এমন অনেক তারিখ রয়েছে যেগুলি তোমার জীবনে যেকোনো সময় গুরুত্ব পেয়ে যেতে পারে। সেই ধরনের একটা কনসেপ্ট থেকেই এই ছবিটা বানানো। জীবনের প্রত্যেকটা তারিখ যেন একটা গুরুত্বপূর্ণ তারিখ হয়। আজ হয়ত এই দিনটার কোনো মূল্য নেই সেটাই হয়তো ভবিষ্যতে তোমার বা তোমার পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এছাড়া শ্বাশত বলে, আমার কাছে মহিলা পরিচালক ও পুরুষ পরিচালক বলে আলাদা কিছু নেই। আমি দুজনের সঙ্গেই কাজ করেছি। চুর্নির আগের ছবিতেও ছিলাম, এই ছবিতেও আছি। তবে চূর্ণী ও কৌশিকদার কাজের ধরনটা আলাদা। চূর্ণী যতক্ষণ না তার মনের মতো শর্ট পাচ্ছে ও শুটিং করেই যাবে। হয়তো কোন কোনো সময় বিরক্ত হয়েছি, কিন্তু শেষবেলায় দেখেছি আমার কাজটাই ভালো হয়েছে। এ ছবিতে প্রথম চমক যদি চূর্ণী হয়, তবে দ্বিতীয় চমক হচ্ছে রাইমা সেন, এখানে ও অনবদ্য অভিনয় করেছে। কৌশিক গাঙ্গুলী বলেন, ছবিটা কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল দেখানোর আগে যে গুটি কয়েকজন দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তার মধ্যে আমি একজন। আমার বাড়ি থেকেই এই ছবি লেখা ও তৈরি হয়েছে কিন্তু ঘটনাচক্রে ছবিটা বিষয়বস্তু আগে দেখতে পাইনি। একদম দর্শকদের মতন রেডি হবার পরে ছবিটা আমি দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং খুবই মুগ্ধ হয়েছিলাম।
[wonderplugin_video videotype=”mp4″ mp4=”http://localhost/bnews/wp-content/uploads/2019/03/Tarikh-Official-Trailer.mp4″ videowidth=600 videoheight=400 keepaspectratio=1 videocss=”position:relative;display:block;background-color:#000;overflow:hidden;max-width:100{ebf45fdf0a132dcec4b3bbec2b6fbe52427480f0b07af93baf83eda82c837b7c};margin:0 auto;” playbutton=”http://localhost/bnews/wp-content/plugins/wonderplugin-video-embed/engine/playvideo-64-64-0.png”]