কলকাতা

কোন অংকেই আর বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারছে না, এই বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিতঃ মমতা

জ্যোতির্ময় দত্ত, কলকাতাঃ ইন্দ্রানী হালদার কে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংস্কৃতিক সেলের কনভেনার বা আহ্বায়ক করা হল।  ওরা বেশ কয়েকটা সভা করবে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে আজ নবান্নে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমার ৪ তারিখ থেকে প্রচার শুরু করার কথা ছিল কিন্তু আমাকে কিছুটা এডজাস্ট করতে হচ্ছে কারণ অনেকগুলো প্রচার করতে হবে, তাই ৩ তারিখ থেকেই প্রচার শুরু করব। এক মাস পনেরো দিন ধরে প্রচার করতে হবে। তবে আমরা নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট সম্মান করি। আমরা পজিটিভ আছি। কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অন্য কারো ইস্তেহার নিয়ে কোন মন্তব্য করব না। যা বলবো তা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইস্তেহারে যা বলি সেটাই করে দেখাই। ২০১১ বা ২০১৪ বা ২০১৬ সালে যা বলেছিলাম তাই করেছি। আপনারা আমাদের ইস্তেহার দেখে মিলিয়ে নিতে পারেন। কার্যক্ষেত্রে সেটা সঠিকভাবে করে দেখানোটাই কাজ। আমরা ১০০ শতাংশ কাজ করে দেখিয়েছি। কমিটমেন্ট হল কমিটমেন্ট। আর ইস্তেহারের বিষয়টা আলাদা। তবে নতুন সরকার গঠনের পর ন‍্যুনতম অভিন্ন কর্মসূচির ভিত্তিতেই কাজ হবে। বাংলার ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, ২০০ কেন ৩৬৫ দিন কাজ দিতে পারলে আমি বেশি খুশি হব। এছাড়া মায়াবতীজীর নিজস্ব মতামত আছে, অখিলেশের নিজস্ব মতামত আছে, দেবেগৌড়াজী, চন্দ্রবাবু নাইডুজী তাদেরো নিজস্ব মতামত আছে। আমি চাই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে। ইউনাইটেড ইন্ডিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে খুব পজিটিভ। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। আমার নিজের কিছু চিন্তা ভাবনা রয়েছে, অন‍্যদের‌ও কিছু আলাদা চিন্তা ভাবনা রয়েছে। সমস্ত আঞ্চলিক ও জাতীয় দলগুলো এই বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবো। আমরা একটা অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজ করব। এই বিষয়ে আমি খুব পজিটিভ। কোন অংকেই আর বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারছে না। এই বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো প্রসঙ্গে তিনি বলে আমরা বলেছি (নির্বাচন কমিশনকে)ওদেরকে এখানে নির্বাচনের কাজে লাগান, এলাকাটা খালি করে দেবেন না। কারণ জঙ্গলমহলের এই এলাকাগুলি ঝাড়খন্ড লাগোয়া, ওখান থেকে মাঝেসাজেই দুষ্কৃতকারীরা ঢুকে পড়ে, তখন সমস্যা হতে পারে,তাই প্রয়োজনে ওদেরকে ওখানকার নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করুন। কারণ আপনারা তো সেই বাইরে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসছিলেন। যোগীর মোদি সেনা মন্তব‍্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন দেখুন আমি মনে করি না যে যোগীজি এইটা শুধু কোন তথ্য দেওয়ার জন্য বলেছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমার যথেষ্ট রেসপেক্ট রয়েছে। যোগিনী হোক বা ভোগিজী, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমার মনে হয় এই ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়। আমাদের সেনাবাহিনী সারা দেশের জন্য কাজ করে, আমি তাদেরকে স্যালুট জানাই। তারা নির্দিষ্ট কোন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করে না, তারা এই দেশের জন্য কাজ করে। এই মাটির জন্য কাজ করে। এরা এত ডেসপারেট হয়ে গেছে, ফ‍্যাসিস্ট হয়ে গেছে যে, যে কোন সংস্থা কে নিয়ে ওরা এই ধরনের কথা বলে দিচ্ছে। যে যা মুখে আসে তাই বলে দিচ্ছে। একটা লিমিট থাকা উচিত। ওরা সব লিমিট পার করে দিচ্ছে।