মালদা

মালদায় বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য

হক জাফর ইমাম, মালদাঃ মালদা শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো। মৃত রোগীর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ মৃত্যুর পরেও প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে চিকিৎসা করা হয়। এমনকি মৃত রোগীকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা ও রক্তও দেওয়া হয়। বুধবার দুপুর দুইটা নাগাদ পরিবারকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় এই দিন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদা শহরের মকদমপুর এলাকায় ওই বেসরকারী নার্সিংহোমে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছুটে আসে মালদা ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও রাফ। পরে ওই নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রায় ২৭ হাজার টাকা দেওয়া হয় মৃতের পরিবারকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে মৃত রোগীর নাম সনেকা কর্মকার(৫২)। বাড়ি পুখুরিয়া থানার পিরগঞ্জ এলাকায়। স্বামী মন্টু কর্মকার পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকেরা গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তপাত সমস্যা নিয়ে শহরের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করায়। রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা চলার পর বেলা ২ টা নাগাদ পরিবারের লোকেদের জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে তাদের রোগীর। প্রথমদিকে মেনে নেয় পরিবারের লোকেরা। কিন্তু মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে পেয়ে দেখেন সেখানে মৃত্যুর সময় দেওয়া রয়েছে রাত দুটো। এই নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত। নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ঠগানোর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে পরিবার ও আত্মীয়রা। নার্সিংহোমে উত্তেজনা ছড়াতেই ছুটে আসে মালদা ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় বিশাল রাফ। এই বিষয়ে নার্সিংহোমের কর্তা তথা চিকিৎসক এস এন শর্মা বলেন, রোগীর আবস্থা আশঙ্খাজনক ছিল। ঠিক মতই চিকিৎসা হয়েছে। পরিবারের লোকেরা যে অভিযোগ তুলছেন সেটি কম্পিউটারের টাইপের ভুলে প্রিন্ট হয়েছে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পর দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। সেখানে কতৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হলে বিক্ষোভ তুলে নেয় মৃত রোগীর পরিবারের লোক জনেরা।