হক জাফর ইমাম, মালদাঃ হিমঘর সমবায় সমিতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদার আদিনায়৷ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে যাওয়া হলেও তদন্ত কমিটিকে এড়িয়ে গেলেন সমিতির শীর্ষকর্তারা৷
পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মালদা জেলার সবচেয়ে বড়ো হিমঘরটি তৈরি হয়েছে৷ এই হিমঘরটি সমবায় সমিতি পরিচালিত৷ বর্তমানে এই হিমঘরে ৩টি ইউনিট রয়েছে৷ চতুর্থ আরেকটি ইউনিট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে৷ ওই ইউনিট নিয়েই সদস্যদের সবাই অভিযোগ তুলেছেন৷ তাঁরা নিজেদের লিখিত অভিযোগপত্র জেলা সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন৷ অভিযোগ প্রসঙ্গে এক সদস্য বিশ্বনাথ সুকুল বলেন, সমিতির চেয়ারম্যান নিজের খেয়ালখুশিমতো প্রায় ৭ বিঘা জায়গা কিনে ফেলেন৷ সেই জায়গার ভ্যালুয়েশন ১৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা৷ অথচ সেই জায়গা কেনা হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকায়৷ এনিয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন৷ অভিযোগের তদন্তে সরকারি প্রতিনিধিদল হিমঘরে আসে৷ কিন্তু হিমঘর কর্তৃপক্ষ তদন্তকারী দলের সামনে উপস্থিত হননি৷ তাঁরা পালিয়ে গেছেন৷
তদন্ত চলাকালীন হিমঘরে উপস্থিত হিসাবরক্ষক সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, হিমঘরে তদন্ত করতে এসেছিলেন সরকারি আধিকারিকরা৷ কিন্তু হিমঘর পরিচালন সমিতির কোনও শীর্ষকর্তা উপস্থিত ছিলেন না৷ হিমঘরের কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই৷ তদন্তের বিষয়ে তিনি জানতেন না৷
তদন্তকারী দলের পক্ষে সরিৎ দাস বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাঁরা তদন্ত করতে আসেন৷ এই তদন্তের বিষয়ে আগেই কর্তাদের মেইল ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু নথিপত্র যাঁদের হাতে থাকে তাঁরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না৷ ফলে তদন্তের কোনও কাজ করতে হয়নি৷ আগামী সোমবার ফের এই হিমঘরে তদন্ত হবে৷ তার লিখিত নির্দেশিকা হিমঘর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে৷