কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যাকফুটে ইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অর্থবহ তথ্য বা নথি দেখাতে ব্যর্থ ইডি। শর্তসাপেক্ষে রক্ষাকবচ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও ইডি ECIR বাতিলের আবেদন খারিজ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ইডি-কে। অভিষেকের করা মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, ‘এই মামলার ক্ষেত্রে মামলাকারী (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ) এবং ইডি অতি স্পর্শকাতর হয়ে পড়ছে।’ ‘চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতার রাস্তায় বসে আছে, এটাই বাস্তবচিত্র।’ মন্তব্য করেছিলের বিচারপতিনিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মামলার সঙ্গে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির অফিসে ইডির তল্লাশির বিষয়টিও যুক্ত হয়। চলতি সপ্তাহে অভিষেকের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এদিকে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর এবং শীর্ষকর্তাদের সম্পত্তির যাবতীয় তথ্য হলফনামা আকারে কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবারই জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি৷ প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ডিরেক্টর সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সমস্ত কর্তাব্যক্তিদের সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে হবে আদালতকে৷ ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ অর্থাৎ যদি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও হন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে হবে ইডিকে। সেই নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার আদালতে হলফনামা জমা দিল ইডি৷এদিকে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ইডি আধিকারিকের ১৬টি ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। তাদের অভিযোগ ছিল, ইডি আধিকারিকদের রীতিমতো হয়রান করছে কলকাতা পুলিশ। জেনারেল ডাইরির ভিত্তিতে ইডি আধিকারিকদের বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও চাওয়া হচ্ছে। অবশ্য কলকাতা পুলিশ আদালতে জানায়, এখনই এ নিয়ে ইডির বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না৷ সব শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, ‘‘কলকাতা পুলিশ স্থিতাবস্থা বজায় রাখলে, নতুন করে কোনও শুনানির প্রয়োজন নেই ইডি আবেদনের।’’তবে পাশাপাশি, ইডি অফিসারদের কোনও রক্ষাকবচও দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। জানানো হয়েছে, ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করতে গেলে, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবে ইডি।