কলকাতা

কোটি কোটি বেআইনি অর্থ লেনদেন! রাজ্যের একাধিক জায়গায় ইডি-র অভিযান

ফের রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালাল ইডি। আন্তর্জাতিক হাওয়ালা পাচার চক্রের খোঁজে আজ কলকাতা শহর ও শহরের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাজারহাট, নিউটাউন, বাইপাস লাগোয়া, বসিরহাট ও বনগাঁয় মূলত হানা দেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের খবর, এখানকার বেশকিছু কাগুজে কোম্পানির মারফৎ হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হত। অন্যদিকে, ভুয়ো সংস্থা খুলে বাংলাদেশি ব্যাঙ্ক থেকে কয়েকশো কোটি টাকা ঋণ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ৷ সেই সূত্র ধরেই উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে সাত সকালে হানা দিলেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ এ দিন অশোকনগরের তিন তিনজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷ এক ব্যবসায়ীকে আটকও করেছেন তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, অশোকনগর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতী ক্লাব এলাকার বাসিন্দা সুকুমার মৃধা নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এ দিন সকালে প্রথমে হানা দেয় ইডি৷ সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো সংস্থা খুলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে কমবেশি ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেন৷ সেই ঋণ শোধ না করে হাওয়ালার মাধ্যমে ঋণের টাকা ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতে তদন্তে নামে বাংলাদেশের আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত অপরাধের তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ৷ তাঁরে মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার মারফত বিষয়টি ভারতে ইডি-র গোচরে আনা হয়৷ এর পরেই তদন্তে নামেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ বেশ কয়েকবছর আগেই অশোকনগরে কয়েক কাঠা জায়গার উপরে এই বিলাসবহুল বাগানবাড়ি তৈরি করেন ওই ব্যবসায়ী৷ যদিও তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ এই বাড়িতে থাকতেন না বলেই খবর৷ তাঁরা বাংলাদেশেই থাকেন বলে খবর৷ সুকুমার মৃধা নামে ওই ব্যবসায়ীর পাশাপাশি স্বপন মিত্র নামে আরও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা৷ অশোকনগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুকুমার মৃধার বাড়ির কাছেই স্বপন মিত্রের বাড়ি৷ সুকুমার মৃধাকে বাড়িতে না পেলেও স্বপন মিত্রকে আটক করেন ইডি আধিকারিকরা৷ এ ছাড়াও অশোকনগরের বিল্ডিং মোড় এলাকায় প্রণব হালদার নামে আরও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি৷ এর পাশাপাশি শহরের নামি নির্মাণ সংস্থার ডিরেক্টর অভিডিৎ সেনের বাড়িেত সকালেই হানা দেয় ইডির আধিকারীকরা। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বাড়ি বিক্রি এবং কেনা বেচার ক্ষেত্রে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। একাধিক ক্রেতা নাকি অভিজিৎ সেনের বিরুদ্ধে শহরের একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। গত তিনদিন ধরে শহরে ইডির তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। বুধবার থেকে কলকাতা এবং জেলা সহ একাধিক জায়গায় ইডির আধিকারীকরা তল্লাশি শুরু করেছে। শুক্রবার ইডির আধিকারীকরা হানা দেন শহরের নামি নির্মাণ সংস্থা অভিজাত কনস্ট্রাকশন কোম্পানির দফতরে হানা দেন। সংস্থার ডিরেক্টর অভিজিৎ সেনের বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকাকারীকরা। তাঁরা অভিজিৎ সেনের বাড়ি এবং অফিস দুই জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারীকরা।