মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তাঁদের কাজের অবদানের জন্য সন্মাণিত করতে চালু হয়েছে ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার( প্রদানের কর্মসূচী। প্রতিবছর শিক্ষক দিবসের দিন এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বাছাই করা কিছু শিক্ষকের হাতে। চলতি বছরেও রাজ্যজুড়ে সর্বাধিক ১৫৩ জনকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া হবে। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের শিক্ষাদফতর। সোমবার এই বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকদের নিজস্ব কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রবন্ধ পাঠাতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে সর্বোচ্চ ১০জন শিক্ষকের আবেদন শিক্ষারত্নের জন্য জমা দেওয়া যাবে। কোনও জেলায় এটিই সর্বোচ্চ। কলকাতার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা আবার ৬। পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, আলিপুরদুয়ার ও অন্যান্য ছোট জেলাগুলির ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা আবার ৪। বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য শিক্ষকদেরই আবেদন করতে বলা হয়। কেননা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের দাবি, এই পদ্ধতি বিজ্ঞানসন্মত। কারণ একজন শিক্ষক কোথায় কোন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত তা তিনি নিজেই ভালো জানেন। অন্য কেউ বাছাই করে দিলে তাতে বঞ্চনার সম্ভাবনা থাকে।