দেশ

দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, NEET বিতর্ক নিয়ে বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিট ইউজিতে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পরীক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, এই ইস্যুতে বিরোধীদের নিশানা করতে ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য। সম্প্রতি সর্বভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিট বিতর্ক নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর কথায়, ‘যাবতীয় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে। তবে নিট বাতিলের আদৌ কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি? কারণ, মূল অভিযোগটাই তো স্পষ্ট নয়। শুধু মাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য় বাজার গরম করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা।’ এর পরই নিট বিতর্ক নিয়ে চলা তদন্ত রিপোর্টের জন্য পরীক্ষার্থীদের অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। ‘অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু কিছু তথ্য় উঠে এসেছে। নিট নিয়ে 8 জুলাই রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এতে তো সরকারের লুকানোর কিছু নেই। আদালতের নির্দেশ এলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ চলতি বছরের 5৫ মে অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকার আয়োজন করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ। এবছর নিট ইউজির পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ। দেশের ৪৭০০ ও ভারতের বাইরের 14টি কেন্দ্রে 13টি ভাষায় নেওয়া হয় এই পরীক্ষা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘দু’টি কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম হয়ে থাকলে দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে। সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে একটি রায় দিয়েছে। ফলে এতে আর কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।’ কিন্তু প্রশ্ন হল, আদালত হস্তক্ষেপ না করা পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও কেন তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে এনটিএ? এই অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ‘অসঙ্গতি প্রকাশ্যে আসার পরই গ্রেস মার্কস ফর্মুলা চালু করা হয়েছিল। যা উদ্ধৃত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নম্বর বাড়ানোর ফলে 6 জন পরীক্ষার্থী প্রথম স্থান পেয়েছেন। যা নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।’ সাক্ষাৎকারে বলেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।