বছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচন মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে ৷ সম্প্রতি এই ২টি রাজ্যই রাজনৈতিক ওঠাপড়ার সাক্ষী থেকেছে ৷ মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে এক দিনেই, ২০ নভেম্বর ৷ রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা ৯.৬৩ কোটি ৷ ১ লক্ষ ১৮৬ টি বুথ ৷ ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর ৷ ঝাড়খণ্ডে ৮১ টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট- ১৩ ও ২০ নভেম্বর ৷ ২.৬ কোটি ভোটার ৷ ২৯ হাজার ৫৬২ বুথের সংখ্যা ৷ ভোট গণনা ২৩ নভেম্বর ৷ চলতি বছরের জানুয়ারিতে জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ৷ সেই সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ৷ ক’দিন পরেই মুখ্যমন্ত্রী হন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা চম্পাই সোরেন ৷ 28 জুন ইডির মামলায় হেমন্তের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ জামিন পেয়ে তিনি ফিরে আসেন ৷ আবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হেমন্ত সোরেন ৷ তখন চম্পাই সোরেনকে পদত্যাগ করতে হয় ৷ মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেননি চম্পাই ৷ পরে তিনি জেএমএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ৷ এদিকে মহারাষ্ট্রেও রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ৷ 2019 সালের অক্টোবরে বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও শিবসেনা জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়লেও পরে সরকার গড়ার সময় দু’টি দলের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয় ৷ প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ৷ উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে শিবসেনা জোট থেকে সরে আসায় ইস্তফা দিতে হয় ফড়নবিশকে ৷ সরকার গঠন করে এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনার মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) জোট ৷ মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে ৷ ২০২২ সালের জুন মাসে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতাদের চাপে এই সরকারেরও পতন হয় ৷ ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে ৷ শিবসেনা ভেঙে দু’টি শিবির তৈরি হয় ৷ একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হয় মহারাষ্ট্রে ৷ উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ৷ আরেক উপমুখ্যমন্ত্রী এনসিপির অজিত পাওয়ার ৷